যেকোনো ভাষা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকে। আমাদের বাংলা ভাষা ১০০০ বছর আগে যেমন ছিলো, এখন কিন্তু তেমন নেই। আবার ১০০০ বছর পরেও এমন থাকবে না। এভাবে দিন যত যায়, ভাষার পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ফলে ধ্বনির পরিবর্তনও ঘটে। এই পরিবর্তনের পিছে কিছু কারণ আছে, সেগুলো হলো-
ভৌগোলিক পরিবেশ ও জলবায়ু
অন্য কোনো ভাষার প্রভাব
উচ্চারণে অসাবধানতা
উচ্চারণ কষ্ট লাঘবের জন্য অন্যভাবে উচ্চারণ
অনেকভাবে ধ্বনির পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই এর প্রকারভেদও অনেক। তবে মূলত ধ্বনি পরিবর্তন ২ প্রকার-
a) স্বরধ্বনির পরিবর্তন
b) ব্যঞ্জন ধ্বনির পরিবর্তন
মনে রাখবে যেভাবে- স্বরধ্বনির পরিবর্তন গুলো হচ্ছে যেসব পরিবর্তনের নাম শুরু হবে স্বর কথাটা দিয়ে কিংবা কোনো স্বরবর্ণ দিয়ে। ব্যঞ্জন ধ্বনির পরিবর্তন গুলো হচ্ছে যেসব পরিবর্তনের নাম শুরু হবে ব্যঞ্জন শব্দটি দিয়ে কিংবা কোনো ব্যঞ্জন বর্ণ দিয়ে। তবে ব্যাতিক্রম হচ্ছে অন্তর্হতি। এটি স্বরবর্ণ অ দিয়ে শুরু হলেও এটি ব্যঞ্জন ধ্বনির একটা পরিবর্তনের নাম। আরেকটা চার্টের মাধ্যমে ব্যাপারটা দেখি-
স্বরধ্বনির পরিবর্তন |
ব্যঞ্জনধ্বনির পরিবর্তন |
স্বরাগম স্বরলোপ স্বর সংগতি অপিনিহিতি অভিশ্রুতি অসমীকরণ |
ব্যঞ্জন দ্বিত্ব ব্যঞ্জন চ্যুতি ব্যঞ্জন বিকৃতি সমীভবন ধ্বনি বিপর্যয় হ-কার লোপ র-কার লোপ বিষমীভবন ব্যাতিক্রম : অভিশ্রুতি (যদিও এটি শুরু হয়েছে স্বরবর্ণ অ দিয়ে) |
ধ্বনির পরিবর্তনের উদাহরণ লেখা হয় ১ম অংশে মূল ধ্বনি বা বিশুদ্ধ ধ্বনি দিয়ে, তারপর একটা > চিহ্ন দিয়ে ২য় অংশে পরিবর্তিত ধ্বনির দিয়ে। যেমন-
রিকসা (মূল ধ্বনি) > রিসকা (পরিবর্তিত ধ্বনি)
এবার আমরা প্রতিটা ধ্বনি পরিবর্তনকে একটার সাথে আরেকটাকে তুলনা করে জানার চেষ্টা করবো।
স্বরাগম ও স্বরলোপ
স্বরাগম |
স্বরলোপ |
উচ্চারণের সুবিধার জন্য শব্দের মধ্যে স্বরবর্ণ আসলে সেটাকে স্বরাগম বলে। তিন ধরনের- আদি স্বরাগম মধ্য স্বরাগম / বিপ্রকর্ষ / স্বরভক্তি অন্ত স্বরাগম |
উচ্চারণের সুবিধার জন্য শব্দের মধ্যে স্বরবর্ণ উঠে গেলে সেটাকে স্বরলোপ বলে। তিন ধরনের- আদি স্বরলোপ মধ্য স্বরলোপ অন্ত স্বরলোপ |
আদি স্বরাগম : শব্দের প্রথমে এক্সট্রা স্বরধ্বনি আসে। যেমন- স্কুল > ইস্কুল, স্টিশন > ইস্টিশন, স্থাবল > আস্থাবল, স্পর্ধা > আস্পর্ধা, স্টিমার > অস্টিমার, স্ত্রী > ইস্ত্রী। |
আদি স্বরলোপ : ঠিক আদি স্বরাগমের বিপরীত জিনিস। শব্দের প্রথমে থাকা স্বরধ্বনি উঠে যায়। যেমন- আলাবু > লাউ, উদ্ধার > ধার, উধার > ধার।
|
মধ্য স্বরাগম : শব্দের মাঝে এক্সট্রা স্বরধ্বনি আসে। যেমন- অ কারের আগমন- রত্ন > রতন, মর্দ > মরদ, জন্ম > জনম, স্বপ্ন > সপন ই কারের আগমন – প্রীতি > পিরিতি, ক্লিপ > কিলিপ, ফ্লিম > ফিলিম, হর্ষ > হরিষ, ত্রিশ > তিরিশ, বর্ষণ > বরিষন, আজ > আইজ, চার > চাইর, মার > মাইর, কাল > কাইল। উ কারের আগমন – মুক্তা > মুকুতা, ব্রাশ > বুরুশ, রাজপুত্র > রাজপুত্তুর, শুক্রবার > শুক্কুরবার, ভ্রু > ভুরু, দুর্জন > দুরুজন, তুর্ক > তুরুক, চাল > চাউল। এ কারের আগমন – স্রেফ > সেরেফ, গ্লাস > গেলাস, গ্রাম > গেরাম, শ্রাদ্ধ > ছেরাদ্দ, প্রায় > পেরায়, ঘ্রাণ > ঘেরাণ, ব্যাকুল > বেয়াকুল। ও কারের আগমন – মুরগ > মোরগ, শ্লোক > শোলোক, কুর্ক > কোরোক।
|
মধ্য স্বরলোপ : ঠিক মধ্য স্বরাগমের বিপরীত জিনিস। শব্দের মাঝে থাকা স্বরধ্বনি উঠে যায়। যেমন- অগুরু > অগ্রু, সুবর্ণ > স্বর্ণ, আইজ > আজ। |
অন্ত স্বরাগম : শব্দের শেষে এক্সট্রা স্বরধ্বনি আসে। যেমন- দিশ > দিশা, বেঞ্চ > বেঞ্চি, আশ > আশা, পোখত > পোক্ত, সত্য > সত্যি। |
অন্ত স্বরলোপ : ঠিক অন্ত স্বরাগমের বিপরীত জিনিস। শব্দের শেষে থাকা স্বরধ্বনি উঠে যায়। যেমন- আশা > আশ, মারি > মার, চারি > চার, বন্যা > বান, চাকা > চাক, আজি > আজ। |
অপিনিহিতি ও অভিশ্রুতি
অপিনিহিতি |
অভিশ্রুতি |
অপিনিহিতিতে শব্দের মধ্যে থাকা পরের ই কার / উ কার আগেই উচ্চারিত হয়। ই কার আগে উচ্চারিত হয়- আজি > আইজ, রাতি > রাইত, কালি > কাইল, জালিয়া > জেলে, চারি > চাইর, রাখিয়া > রাইখ্যা, গাঁটি > গাঁইট, ভাসিয়া > ভাইস্যা, চলিয়া > চইলা, মাটিয়া > মাইট্যা। উ কার আগে উচ্চারিত হয়- সাধু > সাউধ, মাছুয়া > মাউছ্যা, গাছুয়া > গাউছ্যা, হাটুয়া > হাউট্যা য ফলা থাকলে- কন্যা > কইন্যা, সত্য > সইত্য, যোগ্য > জোইগ্য, কার্য > কাইর্য, কাব্য > কাইব্য, গদ্য > গইদ্য। |
অভিশ্রুতিতে শব্দের শেষে ইয়া থাকলে এ হয় এবং উয়া থাকলে ও হয়। মনে রাখার সহজ উপায় হচ্ছে, এর মাধ্যমে সাধু ভাষা চলিত ভাষাতে রূপান্তরিত হয়। যেমন- করিয়া > করে, রাখিয়া > রেখে, চলিল > চলল, রাখিও > রেখো, বলিব > বলব, অভ্যাস > অভ্যেস, শুনিয়া > শুনে, আসিয়া > এসে, মাছুয়া > মেছো। |
এবার একটা মজার বিষয় দেখবো, অপিনিহিতি এবং মধ্যস্বরাগমের উদাহরণ প্রায় একই। কিন্তু এদের মাঝে সূক্ষ্ণ একটা পার্থক্য আছে-
মধ্যস্বরাগমে নতুন করে স্বরধ্বনি শব্দের মাঝে বসে-
আজ > আইজ, চার > চাইর, মার > মাইর।
কিন্তু অপিনিহিতিতে শব্দের শেষে থাকা ই/উ আগে চলে আসে-
আজি > আইজ, চারি > চাইর, মারি > মাইর।
স্বরসঙ্গতি ও সমীভবন / সমীকরণ / ব্যঞ্জন সঙ্গতি
স্বরসঙ্গতি |
সমীভবন / সমীকরণ / ব্যঞ্জন সঙ্গতি |
স্বরসঙ্গতিতে একটা স্বরধ্বনির প্রভাবে আরেকটা স্বরধ্বনির পরিবর্তন ঘটে। এটি ৪ ধরনের- প্রগত স্বরসঙ্গতি পরাগত স্বরসঙ্গতি মধ্যগত স্বরসঙ্গতি অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি |
সমীভবনে পাশাপাশি বসে থাকা দুটো অসমান ব্যঞ্জন বর্ণকে সমান করে দেওয়া হয়। এটি ৩ ধরনের- প্রগত সমীভবন পরাগত সমীভবন অন্যোন্য সমীভবন |
প্রগত স্বরসঙ্গতি : ১ম স্বরধ্বনির প্রভাবে ২য় স্বরধ্বনি পরিবর্তন হয়, কিন্তু ১ম স্বরধ্বনির কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। যেমন- বিকাল > বিকেল, ইচ্ছা > ইচ্ছে, হিসাব > হিসেব, ইচ্ছা > ইচ্ছে, ভিক্ষা > ভিক্ষে, মিঠা > মিঠে, ফিতা > ফিতে, মিথ্যা > মিথ্যে, তিনটা > তিনটে, দিলাম > দিলেন, বিলাত > বিলেত, শিকা > শিকে মুলা > মুলো, কুমার > কুমোর, হুকা > হুকো, বুড়া > বুড়ো, তুলা > তুলো, সুতা > সুতো, রূপা > রূপো, পূজা > পুজো, ধুলা > ধুলো, নৌকা > নৌকো, ফুলা > ফুলো, ফুটা > ফুটো, মৌজা > মৌজো, কুড়াল > কুড়ুল বিনা > বিনি |
প্রগত সমীভবন : ১ম ব্যঞ্জন ধ্বনির প্রভাবে ২য় ব্যঞ্জন ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে ১ম ব্যঞ্জন ধ্বনির মত হয়ে যায়। সহজভাবে বললে, এখানে ২য় ব্যঞ্জন হিসেবে নতুন একটা ব্যঞ্জন ধ্বনি চলে আসে। যেমন- পক্ব > পক্ক, এখানে পক+ব থেকে পক+ব হয়েছে, অর্থাৎ ১ম ব্যঞ্জন ধ্বনি ক এখানে ২য় ব্যঞ্জন ধ্বনি ব কে পরিবর্তন করে তার মতই ক বানিয়ে দিয়েছে। এরকম আরো কিছু উদাহরণ হচ্ছে- চক্র > চক্ক, লগ্ন > লগগ, চন্দন > চন্নন, রাজ্য > রাজ্জ, পদ্ম > পদ্দ, স্বর্ণ > স্বন্ন, গলদা > গল্লা |
পরাগত সরসঙ্গতি : ২য় স্বরধ্বনির প্রভাবে ১ম স্বরধ্বনি পরিবর্তন হয়, কিন্তু ২য় স্বরধ্বনির কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। যেমন- শিয়াল > শেয়াল, মিলা > মেলা, শিখা > শেখা, বুঝা > বোঝা, খুজা > খোজা, উঠা > ওঠা, শুনা > শোনা, দেশি > দিশি, একা > অ্যাকা, ছিড়া > ছেড়া, পিয়ালা > পেয়ালা, লিখা > লেখা, ফুলা > ফোলা, ডুবা > ডোবা, ভুলা > ভোলা, উড়া > ওড়া, দেখা > দ্যাখা, বুনা > বোনা, খুদা > খোদা, শিখে > শেখে, লিখে > লেখে, ফিরা > ফেরা |
পরাগত সমীভবন : ২য় ব্যঞ্জন ধ্বনির প্রভাবে ১ম ব্যঞ্জন ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে ২য় ব্যঞ্জন ধ্বনির মত হয়ে যায়। সহজভাবে বললে, এখানে ১ম ব্যঞ্জন হিসেবে নতুন একটা ব্যঞ্জন ধ্বনি চলে আসে। যেমন- কাঁদনা > কান্না, কর্তা > কত্তা, সর্প > সাপ, তৎজন্য > তজ্জন্য, তৎহিত > তদ্ধিত, কর্ম > কম্ম, যতদূর > যদ্দুর, করতাল > কত্তাল, ডাকঘর > ডগঘর, ধর্ম > ধম্ম, বিপদজনক > বিপজ্জনক |
অন্যোন্য সরসঙ্গতি : এক্ষেত্রে ১ম স্বরধ্বনির প্রভাবে ২য় স্বরধ্বনি পরিবর্তন এবং ২য় স্বরধ্বনির প্রভাবে ১ম স্বরধ্বনি পরিবর্তন একসাথে ঘটে। যেমন- মোজা > মুজো, ধোঁকা > ধুঁকো, জোতা > জুতো, পোষ্য > পুষ্যি |
অন্যোন্য সমীভবন : এখানে ১ম ও ২য় ব্যঞ্জন ধ্বনি দুটোই একে অপরের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে যায়। যেমন- সত্য > সচ্চ, বিদ্যা > বিজ্জা, চিকিৎসা > চিকিচ্ছা, কুৎসিত > কুচ্ছিত |
মধ্যগত সরসঙ্গতি : শব্দে থাকা আগের স্বরধ্বনি ও শেষের স্বরধ্বনির জন্য শব্দের মধ্যে থাকা স্বরধ্বনির পরিবর্তনকে মধ্যগত স্বরসঙ্গতি বলে। আরেকটু সহজে মনে রাখার জন্য- শব্দের মাঝে থাকা স্বরধ্বনি চেইঞ্জ হবে কিন্তু দুপাশে থাকা স্বরধ্বনি স্থির থাকবে। যেমন- ভিখারি > ভিখিরি, উড়ানি > উড়ুনি, বিলাতি > বিলিতি, ধুনারি > ধুনুরি, উনান > উনুন, জিলাপি > জিলিপি, হিসাবি > হিসিবি |
|
অসমীকরণ ও ব্যঞ্জন দ্বিত্ব
অসমীকরণ |
ব্যঞ্জন দ্বিত্ব |
দুটো সমবর্ণ / সমধ্বনির মাঝে “আ” চলে আসলে সেটাকে অসমীকরণ বলে। যেমন- ধপ + ধপ = ধপাধপ, টপ + টপ = টপাটপ, দপ + দপ = দপাদপ, পট + পট = পটাপট। |
একটা ব্যঞ্জন ধ্বনি পরপর দুইবার উচ্চারণ হলে সেটাকে ব্যঞ্জন দ্বিত্ব বলে। যেমন- চাকা > চাক্কা, ঢাকা > ঢাক্কা, পাকা > পাক্কা, সবাই > সব্বাই, ছোট > ছোট্ট, কিছু > কিচ্ছু, মুলুক > মুল্লুক |
দুটো ব্যঞ্জন সমধ্বনি থাকলে
দুটো ব্যঞ্জন সমধ্বনির ক্ষেত্রে বিষমীভবন / অসমীভবন ও ব্যঞ্জন চ্যুতি / ব্যঞ্জন লোপ কাজ করে।
বিষমীভবন / অসমীভবন |
ব্যঞ্জন চ্যুতি / ব্যঞ্জন লোপ |
দুটো ব্যঞ্জন সমধ্বনির একটা পরিবর্তন হয়ে গেলে সেটাকে বিষমীভবন বলে। যেমন- শরীর > শরীল, আরমারি > আলমারি, লাল > নাল, লাঙ্গল > নাঙ্গল, লেবু > নেবু |
দুটো ব্যঞ্জন সমধ্বনির একটা উঠে গেলে ব্যঞ্জন চ্যুতি বলে। যেমন- বড়দিদি > বড়দি, ছোটদাদা > ছোটদা, লজ্জা > লাজ, ছোটকাকা > ছোটকা, বন্যা > বান। |
শব্দের মধ্য হতে ব্যঞ্জন বর্ণ পরিবর্তন
শব্দের মধ্য হতে ব্যঞ্জন বর্ণ পরিবর্তনের ফলে ব্যঞ্জন বিকৃতি ও ধ্বনি বিপর্যয় ঘটে।
ব্যঞ্জন বিকৃতি |
ধ্বনি বিপর্যয় |
শব্দের মধ্যে ব্যঞ্জন বর্ণ রূপ পরিবর্তন করে নতুন বর্ণে পরিণত হলে সেটাকে ব্যঞ্জন বিকৃতি বলে। যেমন- কবাট > কপাট, পানি > হানি, ধাইমা > দাইমা, ধোবা > ধোপা, শাক > শাগ। |
শব্দের মধ্যে ব্যঞ্জন বর্ণ পাশ পরিবর্তন করলে সেটাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে। যেমন- রিকসা > রিসকা, লাফ > ফাল, পিশাচ > পিচাশ, বাকস > বাসক, লোকসান > লোসকান, তলোয়ার > তরোয়াল, ডেসক > ডেকস, চাকরি > চারকি, তুলতুলা > লুতলুতা। |
শব্দের মধ্যে র-কার ও হ-কার লোপ
র-কার |
হ-কার লোপ |
শব্দের মধ্যে র-কার বা রেফ (র্) থাকলে সেটা উঠে গিয়ে নতুন একটা ব্যঞ্জন ধ্বনি বসে। যেমন- মারল > মাল্ল, করল > কল্ল, ধর্ম > ধম্ম, করছি > কচ্ছি |
শব্দের মধ্যে হ-কার থাকলে সেটা উঠে যায়। যেমন- চাহিল > চাইল, আলাহিদা > আলাইদা, গাহিল > গাইল, চাহে > চায়, বেহাই > বেয়াই, সেপাহী > সেপাই |
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
www.facebook.com/groups/mycrushschool
অথিতি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-
write@thecrushschool.com