পদ প্রকরণ নিয়ে কতগুলো তথ্য আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে। তথ্য গুলো হচ্ছে-
- পদ প্রকরণ শব্দটি বিশেষ্য পদ,
- আবার পদ প্রকরণ শব্দটি সংস্কৃত ভাষার শব্দ,
- পদ প্রকরণ শব্দটি পারিভাষিক শব্দ,
- এখানে পদ শব্দটি মৌলিক শব্দ এবং পথ শব্দটির অক্ষর ১টি,
- প্রকরণ শব্দটি কৃৎ প্রত্যয় সাধিত শব্দ, প্রকরণ = প্র + √কৃ + অন
- প্রকরণ শব্দটির অর্থ অধ্যায়, আলোচ্য বিষয়,
- পদ এবং পদ প্রকরণ দুটো আলোচিত হয় শব্দতত্ত্বে। কিন্তু পদক্রম এবং পদ পরিবর্তন আলোচিত হয় বাক্যতত্ত্বে।
পদ প্রকরণ যেভাবে গঠিত হয়
মনে রাখতে হবে পদ দুইভাবে গঠিত হতে পারে, এগুলো হচ্ছে-
১. বাক্যে থেকে : “বাংলাদেশ” একটি শব্দ, “আমাদের” একটি শব্দ এবং “জন্মভূমি” একটি শব্দ। কিন্তু-
বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি!
এই বাক্যে “বাংলাদেশ”, “আমাদের”, “জন্মভূমি” প্রত্যেকটি হচ্ছে আলাদা আলাদা পদ। কাজেই কোনো শব্দকে যখন কোনো বাক্যে নেওয়া হয় তখন সেই বাক্যে এই শব্দগুলোকে আর শব্দ বলা যায় না, এর নাম পরিবর্তন হয়ে পদ হয়। অর্থাৎ বাক্যে শব্দ থাকে না, থাকে পদ। পদগুলোকে একসাথে যুক্ত করে বাক্য বানানো হয়, আর বাক্য থেকে যদি পদগুলোকে আলাদাভাবে কোনো একটা জায়গায় নিয়ে রেখে দেওয়া হয়, তবে সেগুলোকে শব্দ বলে। সহজ কথায়-
বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটা অর্থবোধক শব্দকে পদ বলে।
২. বাক্য ছাড়া : শব্দকে বাক্যে না নিয়েও পদ তৈরি করা যায়। কেবলমাত্র ওই শব্দের সাথে একটা বিভক্তি যুক্ত করলেই সেটি পদ হয়ে যায়। অর্থাৎ-
শব্দ + বিভক্তি = পদ
যেমন, দিন (শব্দ) + এ (বিভক্তি) = দিনে (পদ)
সহজ কথায়-
বিভক্তি যুক্ত অর্থবোধক শব্দ হচ্ছে পদ।
পদের প্রকারভেদ
মনে রাখতে হবে পদ মূলত দুই প্রকার – সব্যয় পদ এবং অব্যয় পদ।
সব্যয় পদ আবার চার প্রকার – বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম ও ক্রিয়া।
তাই বলা যায় পদ মোট পাঁচ প্রকার।
পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-