পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে যেসব পথ ধরে ইলেকট্রন ঘুরতে থাকে তাদেরকে পরমাণুর শক্তিস্তর বলে। বোর পরমাণু মডেল থেকে আমরা এই শক্তিস্তর সম্পর্কে জানতে পারি। তবে একটা বিষয় ক্লিয়ার হতে হবে, এই কক্ষপথ গুলো কিন্তু চোখে দেখা যায় না! এদের অস্তিত্ব দেখানোর জন্য আমরা এদেরকে বৃত্তাকার পথ হিসেবে ছবিতে একে থাকি।
কক্ষপথ সংখ্যাকে n দিয়ে প্রকাশ করা হয়। পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াসের কাছে যে কক্ষপথে ইলেকট্রন ঘোরে, সেই কক্ষপথকে ১ম কক্ষপথ বলে। তাই ১ম কক্ষপথের জন্য n = 1। এভাবে n =1, 2, 3, 4, 5… ইত্যাদি সংখ্যার জন্য কক্ষপথ গুলোকে যথাক্রমে K, L, M, N, O ইত্যাদি দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
কক্ষপথের অনেকগুলো নাম আছে। এদেরকে প্রধান শক্তিস্তর, অরবিট (Orbit), শেল (Shell) ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। প্রতিটা কক্ষপথে সর্বোচ্চ 2n2 সংখ্যক ইলেকট্রন থাকতে পারে। যেমন-
১ম কক্ষপথে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন = 2n2 = 2 x 12 = 2টি
২য় কক্ষপথে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন = 2n2 = 2 x 22 = 8টি
৩য় কক্ষপথে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন = 2n2 = 2 x 32 = 18টি
৪র্থ কক্ষপথে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন = 2n2 = 2 x 42 = 32টি
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
www.facebook.com/groups/mycrushschool
অথিতি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-
write@thecrushschool.com
Related posts:
- আয়নিক বন্ধন কাকে বলে
- ইলেকট্রন বিন্যাস কাকে বলে
- ইলেকট্রনাকর্ষী বিকারক
- কেন্দ্রাকর্ষী বিকারক
- জৈব যৌগের প্রাচুর্যতা
- তড়িৎ সংক্রান্ত ইলেকট্রন মতবাদ
- থমসন পরমাণু মডেল
- পরমাণুতে প্রোটন, ইলেকট্রন ও নিউট্রন সংখ্যার সম্পর্ক
- পরমাণুর উপশক্তিস্তর
- পরমাণুর মূল কণিকা
- পরমাণুর শক্তির পাল্লা
- পি টাইপ সেমিকন্ডাক্টর
- বিভিন্ন প্রকার ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া
- বোর পরমাণু মডেল
- রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল