ভূগোল কাকে বলে এটা নিয়ে আমাদের সবার জানা উচিত। প্রাচীন গ্রিসের ভূগোলবিদ ইরাটেসথেনিস প্রথম প্রথম Geography শব্দটি ব্যবহার করেন। Geography শব্দের মধ্যে Geo মানে পৃথিবী এবং Graphy মানে বর্ণনা। সুতরাং Geography শব্দটির অর্থ পৃথিবীর বর্ণনা।
১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির বিজ্ঞান একাডেমির মতে-
পৃথিবী পৃষ্ঠে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপব্যবস্থাগুলো কিভাবে সংগটিত হয় এবং এসব প্রাকৃতিক বিষয়ের সঙ্গে মানুষ কিভাবে নিজেকে বিন্যস্ত করে তার ব্যাখ্যা খোঁজে ভূগোল।
ভূগোল কাকে বলে সম্পর্কে জানতে হলে এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিষয় চলে আসে, এদেরকে ভূগোলের পরিধি বলে। যেমন- ভূমিরূপবিদ্যা, আবহাওয়াবিদ্যা, সমুদ্রবিদ্যা, মৃত্তিকাবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, সমাজবিদ্যা, অর্থনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি ভূগোলের বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
ভূগোল কাকে বলে ও ভূগোলের শাখা
এখন ভূগোল কাকে বলে নিয়ে জানার পর এটা জানতে হবে ভূগোলের দুটি প্রধান শাখা আছে। এগুলো হচ্ছে-
a. প্রাকৃতিক ভূগোল : পৃথিবীর ভূমিরূপের গঠন প্রক্রিয়া, বায়ুমণ্ডল, বারিমণ্ডল, জলবায়ু ইত্যাদি প্রাকৃতিক ভূগোলের আলোচ্য বিষয়।
b. মানবিক ভূগোল : অর্থনৈতিক ভূগোল, জনসংখ্যা ভূগোল, আঞ্চলিক ভূগোল, রাজনৈতিক ভূগোল, সংখ্যাতাত্ত্বিক ভূগোল, পরিবহন ভূগোল, নগর ভূগোল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি মানবিক ভূগোলের আলোচ্য বিষয়।
মানচিত্র
তোমাদের জানা দরকার মানচিত্র থেকে শব্দটি এসেছে ল্যাটিন Mappa শব্দটি থেকে, যার বাংলা অর্থ মানচিত্র। মানচিত্র হচ্ছে নির্দিষ্ট স্কেলে অক্ষরেখা, দ্রাঘিমারেখা সহ কোনো সমতল ক্ষেত্রের উপর পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিরূপ। মনে রাখতে হবে-
- পৃথিবীতে প্রথম মানচিত্র তৈরি হয় মিশরে তিন হাজার বছর পূর্বে,
- প্রাচীনতম মানচিত্র পাওয়া যায় ব্যাবিলনের গাথুর শহরের ধ্বংসাবশেষে,
- বাংলাদেশের মানচিত্র প্রথম আঁকেন জেমস রেনেল।
মানচিত্রের প্রকারভেদ
স্কেল অনুসারে : বৃহৎস্কেল মানচিত্র, ক্ষুদ্রস্কেল মানচিত্র
বিষয়বস্তু অনুসারে : গুণগত মানচিত্র, পরিমাণগত মানচিত্র
কাজ অনুসারে : প্রাকৃতিক মানচিত্র, সাংস্কৃতিক মানচিত্র
বড়স্কেল মানচিত্রতে বিস্তারিত ভাবে কোনো একটা স্থানের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করা হয়।
ভূগোল কাকে বলে ও জিপিএস (GPS) এবং জিআইএস (GIS)
আমরা ইতোমধ্যে জেনে গেছি ভূগোল কাকে বলে। বর্তমানে মানচিত্র তৈরি, পঠন ও ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে আধুনিক ব্যবহার হচ্ছে GPS এবং GIS। GPS মানে Global Positioning System এবং GIS মানে Geographical Information System।
GPS এর মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ, উচ্চতা এবং দুরত্ব জানা যায়। এছাড়া ঐ স্থানের দিক, তারিখ ও সময় জানা যায়। বিভিন্ন জমির সীমানা নির্ধারণ ও দুর্যোগকালীন সময়ে এটি অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়।
GIS এর মাধ্যমে ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা যায়। এটি কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে। ১৯৬৪ সালে প্রথম কানাডায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে ভূমি ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন, পানি গবেষণা, আঞ্চলিক গবেষণা, নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা, জনসংখ্যা বিশ্লেষণ, পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশ্লেষণের জন্য GIS ব্যবহার করা হয়।
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
www.facebook.com/groups/mycrushschool
অথিতি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-
write@thecrushschool.com
Geography shomporke aro notun kunu information dile onek valo hoto. Ar apnake onek onek dhonbad