C program লেখা এবং সেটার রেজাল্ট দেখার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার গুলোর একটা হচ্ছে CodeBlocks. এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে কম্পিউটারে ইনস্টল করার পর সেটির মাধ্যমে সি প্রোগ্রামের কোড গুলো লিখা হয়।
কোনো কিছু না বুঝে শুরুতেই আমরা codeblocks এ লেখা একটা C program দেখি-
আমরা এবার ধাপে ধাপে বুঝবো এই ছোট্ট প্রোগ্রামের কোন লাইন কি নির্দেশ করছে।
এই প্রোগ্রামটির ভেতরে খেয়াল করো দুটো লাইনে ফার্স্ট ব্যাকেট () দেয়া। এদেরকে Library Function বলে। এসব ফাংশন প্রোগ্রামে থেকে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করে এবং এদের পরে ফার্স্ট ব্রাকেট () যুক্ত থাকে। যেমন- printf(), main() এরা লাইব্রেরি ফাংশন।
প্রোগ্রামের ১ম লাইনে দেখো
প্রোগ্রামে থাকা Library function কে একটা ফাইলে রাখা হয়, যাকে হেডার ফাইল (Header file) বলে। তাই কোনো প্রোগ্রামে লাইব্রেরি ফাংশন থাকলে সেটাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রোগ্রামের শুরুতে হেডার ফাইলের কথা বলে দেওয়া থাকে। এই প্রোগ্রামে হচ্ছে হেডার ফাইলের নাম। stdio.h এর মানে হচ্ছে Standard Input Output dot Header. প্রতিটা লাইব্রেরি ফাংশনের জন্য আলাদা আলাদা হেডার ফাইল থাকে। তাই প্রোগ্রামে আমরা যেসব লাইব্রেরি ফাংশন ব্যবহার করবো, সেগুলো যে হেডার ফাইলে থাকবে তার নামকে #include এর পর বসিয়ে দিবো।
এখন, প্রতিটা হেডার ফাইলের নাম প্রোগ্রামের একদম শুরুতে যুক্ত করতে হয়। সেজন্য এর আগে #include যুক্ত করা হয়। #include এর মাধ্যমে হেডার ফাইলটি প্রোগ্রামের সাথে কানেক্ট হয়ে যায়।
প্রোগ্রামের ২য় লাইনে দেখো
int মানে হচ্ছে integer, অর্থাৎ এটি প্রোগ্রামের স্বাভাবিক সংখ্যার keyword. এর পরে main() হচ্ছে একটা লাইব্রেরি ফাংশন, যেটিকে মেইন ফাংশন বলে। প্রতিটা প্রোগ্রাম মেইন ফাংশন থেকে কাজ করা শুরু করে। অর্থাৎ এটি ব্যবহারের মাধ্যমে একটা প্রোগ্রামের শুরু হয়। তাই প্রতিটা প্রোগ্রামের শুরুতে main() কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করতে হবে।
প্রোগ্রামের ৩য় লাইনে দেখো
একটা সেকেন্ড ব্রাকেট দিয়ে লাইন শুরু হয়েছে। এটির মানে হচ্ছে, main() এর পরের লাইন থেকে এই ফাংশনের কাজ শুরু করা হয় সেকেন্ড ব্রাকেট { ব্যবহার করে।
প্রোগ্রামের ৪র্থ লাইনে দেখো
printf(“Welcome to Crush School”); লেখা আছে, এটি হচ্ছে একটা স্টেটমেন্ট। এটির কাজ হচ্ছে কোনো কিছু কম্পিউটারের স্ক্রিনে ছাপানো বা প্রিন্ট করা। খেয়াল করে দেখো, printf() হচ্ছে লাইব্রেরি ফাংশন এবং এর ফার্স্ট ব্রাকেটের ভেতরে দুটো inverted comma ” ” দেওয়া। আর Welcome to Crush School লেখাটা ঠিক এই দুটো inverted comma এর মাঝে দেওয়া আছে। এর মানে হচ্ছে, কম্পিউটার শুধুমাত্র এই ” ” এর ভেতরের জিনিস প্রিন্ট করে স্ক্রিনে দেখাবে, বাকি জিনিস গুলো প্রিন্ট করবে না। তাই এই প্রোগ্রামের রেজাল্ট দেখাবে শুধুমাত্র Welcome to Crush School এই লেখাটি।
আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করো, printf(“Welcome to Crush School”); লেখার শেষে একটি সেমিকোলন রয়েছে। সি ল্যাঙ্গুয়েজে প্রতিটি স্টেটমেন্টের পরেই একটি সেমিকোলন থাকে। একটি স্টেটমেন্টের কাজ শেষ হলে পরের স্টেটমেন্টের কাজ শুরু হয়।
প্রোগ্রামের ৫ম লাইনে দেখো
return 0; দিয়ে লাইন শুরু। এটিও একটি স্টেটমেন্ট, তাই এটিও সেমিকোলন দিয়ে শেষ করতে হয়েছে। return 0; লেখাটা কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে বলে দেয় যে আমাদের লেখা প্রোগ্রামটা কম্পিউটারে ঠিকঠাকভাবে execute হয়েছে।
প্রোগ্রামের ৬ষ্ঠ লাইনে দেখো
প্রোগ্রামে সবার শেষের লাইন এটি। এখানে একটি সেকেন্ড ব্রাকেট } ব্যবহার করে main() ফাংশনের কাজ শেষ করা বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ ৩ নং লাইন থেকে মেইন ফাংশনের কাজ শুরু হয়েছিলো একটা সেকেন্ড ব্রাকেট { ব্যবহারের মাধ্যমে, ৬ নং লাইনে এসে প্রোগ্রামটি শেষ হয়েছে আরেকটা সেকেন্ড ব্রাকেট } ব্যবহারের মাধ্যমে।
এবার আমরা আমাদের লেখা প্রোগ্রামটির রেজাল্ট কিরকম হবে সেটা দেখি-
এখানে আমরা printf ফাংশনের ইনভার্টেড কমার ভেতরে যা লিখেছিলাম তাই কম্পিউটার স্ক্রিনে প্রিন্ট হয়ে এসেছে। কিন্তু এখানে ২য় ও ৩য় লাইনে যেসব লেখা এসেছে সেগুলো অপ্রয়োজনীয় লেখা। এগুলোকে আমাদের দরকার পড়বে না।
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
www.facebook.com/groups/mycrushschool
অতিথি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-
write@thecrushschool.com