সরল বর্তনীতে ও’মের সূত্র প্রয়োগের আগে জানা দরকার বর্তনী কি? এবং সরল বর্তনী কাকে বলে? বর্তনী হলো বিদ্যুৎ প্রবাহ চলাচলের পথ। বিদ্যুৎপ্রবাহ সৃষ্টির জন্য উৎস (ব্যাটারী বা জেনারেটর), বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য পরিবাহী তার এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারের যন্ত্রপাতি বা পার্টস (যেমন রোধ, ধারক, ডায়োড, ট্রানজিস্টর ইত্যাদি) প্রয়োজন। এ পথের যে কোনো বিন্দু থেকে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়ে পথ বরাবর পুনরায় সেই বিন্দুতে ফিরে আসার পথকে পূর্ণ বর্তনী (Complete circuit) বলে। বর্তনীর সকল অংশে একই মাত্রায় বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে তাকে সরল বর্তনী বলা হয়। নিচে একটা সরল বর্তনী দেখানো হলো-
এ বর্তনী একটি ব্যাটারী (B), একটি রোধ (R) ও একটি চাবি (K) যুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে। ব্যাটারী B এর তড়িৎচ্চালক শক্তি E এবং অভ্যন্তরীণ রোধ r. তড়িচ্চালক বল ব্যাটারীর বাইরে R রোধের ভিতর দিয়ে এবং ব্যাটারীর ভিতরে অভ্যন্তরীণ রোধ r-এর ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য শক্তির যোগান দেয়। এই শক্তি ব্যাটারীর তড়িচ্চালক শক্তি E-এর সমান।
R এবং r রোধের বাধা অতিক্রম করতে যদি V1 ও V2 বিদ্যুৎ শক্তি ব্যয় হয়, তবে-
E = V1 + V2
এখন বর্তনীতে যদি প্রবাহমাত্রা i হয়, তবে R-এর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য,
V1 = iR
এবং r-এর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য
V2 = ir
সুতরাং সমীকরণ গুলোকে তুলনা করলে পাবো-
E = iR + ir
or, E = i(R + r)
or, i = E / (R + r)
অর্থাৎ, বর্তনীর বিদ্যুৎ প্রবাহ মাত্রা = ব্যাটারী বা কোষের তড়িচ্চালক শক্তি / বর্তনীর মোট রোধ
অন্যভাবে বলা যায় যে, বর্তনীতে বিদ্যুৎ প্রবাহমাত্রা ঐ বর্তনীতে প্রযুক্ত তড়িচ্চালক শক্তির সমানুপাতিক এবং বর্তনীর মোট রোধের ব্যস্তানুপাতিক।
পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
Related posts:
- ও’মের সূত্রের প্রমাণ
- ওহমের সূত্র (Ohm’s Law)
- কোষের অভ্যন্তরীণ রোধ
- ডালটনের আংশিক চাপ সূত্রের প্রয়োগ
- তড়িচ্চালক বল (Electromotive Force)
- নিউটনের প্রথম সূত্র ব্যাখ্যা
- পরিবাহিতা, আপেক্ষিক পরিবাহিতা ও অতিপরিবাহিতা
- প্রয়োগ ও অপপ্রয়োগ
- বয়েলের সূত্র ও চার্লসের সূত্রের সমন্বয়
- বিদ্যুৎ প্রবাহ
- বিভব পার্থক্য ও তড়িচ্চালক বলের পার্থক্য
- বিভিন্ন প্রকার ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া
- ভরবেগের নিত্যতা সূত্রের উদাহরণ
- রোধের তাপমাত্রা বা উষ্ণতা গুণাঙ্ক
- রোধের সূত্র ও আপেক্ষিক রোধ