এটম ইকোনমি

কোন বিক্রিয়ায় কাঙ্খিত উৎপাদের মোট আণবিক ভর এবং বিক্রিয়াটিতে ব্যবহৃত সকল বিক্রিয়ক এর সংকেত এর আণবিক ভরের সমষ্টির অনুপাতকে এটম ইকোনমি বলে। গাণিতিক ভাবে আমরা একে প্রকাশ করতে পারি –

% Atom Economy = (কাঙ্খিত উৎপাদের সংকেত এর আণবিক ভর) / (বিক্রিয়ায় ব্যবহৃত সকল বিক্রিয়ক এর সংকেত এর আণবিক ভর এর সমষ্টি) x 100

এখানে 100 গুণন করার মানে হচ্ছে এটি একটি শতকরা পরিমাণ। এবার আমরা একটা উদাহরণের মাধ্যমে এটম ইকোনমি নিয়ে বিস্তারিত জানব।

এটম ইকোনমি

উদাহরণ: মিথাইল ব্রোমাইড থেকে উটজ বিক্রিয়ার মাধ্যমে ইথেন প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এটম ইকোনমি বের করতে হবে।

   2CH3Br + 2Na –> CH3-CH3 + 2NaBr

এই বিক্রিয়াতে আমাদের কাঙ্খিত উৎপাদ হচ্ছে ইথেন, তাই আমাদের এটম ইকোনমির ফর্মুলা অনুসারে ইথেন এর আণবিক ভর উপরে বসাতে হবে। তাই-

% Atom Economy = (ইথেন এর আণবিক ভর / বিক্রিয়ায় ব্যবহৃত সকল বিক্রিয়ক এর সংকেত এর আণবিক ভর এর সমষ্টি) x 100

   = (30 / 236) x 100

   = 12.71

আবার সবুজ রসায়নের দৃষ্টিতে ঠিক এই বিক্রিয়াটি নিম্নরূপে সম্পন্ন করলে আমরা আমাদের কাঙ্খিত উৎপাদ ইথেনকে পাবো-

   CH2=CH2 + H2 –> CH3-CH3

% Atom Economy = (ইথেন এর আণবিক ভর / বিক্রিয়ায় ব্যবহৃত সকল বিক্রিয়ক এর সংকেত এর আণবিক ভর এর সমষ্টি) x 100

   = (30 / 30) x 100

   = 100

অর্থাৎ আমরা এই দুটো বিক্রিয়া ব্যবহার করে ইথেন বানাতে পারবো, তবে এদের মধ্যে দ্বিতীয় পদ্ধতিতে ইথেন তৈরি করলে তার এটম ইকোনমি এর মান সর্বোচ্চ পাওয়া যাবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, কোনো বিক্রিয়ার এটম ইকোনমি যত বেশি হবে, সেই বিক্রিয়াটি তত বেশি পরিবেশবান্ধব হবে। কাজেই আমরা যদি দ্বিতীয় পদ্ধতিতে ইথেন তৈরি করি তবে এই পদ্ধতিতে ইথেন তৈরি করলে পরিবেশের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।

ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-

www.facebook.com/groups/mycrushschool

অথিতি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-

write@thecrushschool.com