রক্তচাপ কাকে বলে

রক্তচাপ কাকে বলে

রক্তচাপ কাকে বলে এটা জানার আগে আমাদের জানতে হবে হৃৎপিণ্ড সঙ্কোচ-প্রসারণের ফলে রক্তনালীর মাধ্যমে সারা দেহে রক্ত সঞ্চালিত হয়। রক্তনালীর মাধ্যমে প্রবাহিত হওয়ার সময় রক্ত ধমনীর গায়ে যে চাপ সৃষ্টি করে, তাই ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ। রক্তচাপের দু’টি মান থাকে- সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক

সিস্টোলিক রক্তচাপ

হৃৎপিণ্ড সঙ্কোচনের সময় রক্তের চাপ বেশি হয়। হৃৎসঙ্কোচনের ফলে ধমনীর গায়ে সৃষ্ট এই রক্তচাপকে ‘সিস্টোলিক রক্তচাপ’ বলে।

ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ

হৃৎপিণ্ড যখন প্রসারিত হয় তখন ধমনীর গায়ে রক্তের চাপ কম পড়ে। হৃৎপ্রসারণকালের এই রক্তচাপকে বলে ‘ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ’। রক্তচাপ রক্তসংবহনে ও জালকতন্ত্রে পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়া রক্ত থেকে কোষে পুষ্টি সরবরাহ, মূত্র উৎপাদন প্রভৃতি শারীরবৃত্তীয় কাজের সঙ্গে জড়িত

আদর্শ রক্তচাপ কাকে বলে

মানুষের শরীরে ১২০/৮০ হলো আদর্শ রক্তচাপ, ১২০ সিস্টোলিক রক্তচাপ এবং ৮০ ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ। ৮০/১৩০ হলো সবচেয়ে অনুকূল রক্তচাপ এবং ৮৫/১৪০ হলো সর্বোচ্চ।

উচ্চ রক্তচাপ কাকে বলে

সাধারনভাবে, যদি কোনও একজনের হৃদ-সংকোচন বা সিস্টোলিক রক্ত চাপ উভয় বাহুতে ১৪০ অথবা উপরে থাকে কিংবা হৃদ-প্রসারণ বা ডায়াস্টলিক চাপ ৯০ অথবা উপরে থাকে,তাহলে তার উচ্চ রক্ত চাপ বলা যেতে পারে। অর্থাৎ স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি রক্তচাপকেই উচ্চরক্তচাপ বলা হয়।

রক্তচাপ কাকে বলে

উচ্চ রক্তচাপের কারণ

রক্তচাপ কাকে বলে এটা জানার পর এখন আমরা জানবো উচ্চরক্তচাপের কারণ কি কি।

  • উচ্চরক্তচাপের বংশগত ধারাবাহিকতা আছে, যদি বাবা-মায়ের উচ্চরক্তচাপ থাকে, তবে সন্তানেরও উচ্চরক্তচাপ হওয়ার আশংকা থাকে।

  • খাওয়ার লবণে সোডিয়াম থাকে, যা রক্তের জলীয় অংশ বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের আয়তন বেড়ে যায় এবং রক্তচাপও বেড়ে যায়।

  • যথেষ্ট পরিমাণে ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম না করলে শরীরে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে অধিক ওজনসম্পন্ন লোকদের উচ্চরক্তচাপ হয়ে থাকে।

  • অতিরিক্ত রাগ, উত্তেজনা, এবং মানসিক চাপের কারণেও রক্তচাপ সাময়িকভাবে বেড়ে যেতে পারে।

  • কিছু কিছু রোগের কারণে উচ্চরক্তচাপ হতে পারে যেমন ডায়াবেটিস।

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ

  • মাথা ব্যাথা বা ভার লাগা, শরীর খারাপ লাগা, দূর্বল হয়ে পড়া এসব প্রাথমিক লক্ষণ।
  • রক্তচাপ অনেক বেশি বেড়ে গেলে আরও কিছু  লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন- মাথা ব্যথার পাশাপাশি চোখে ব্যথা বা ঝাপসা দেখা, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া অথবা নাক দিয়ে রক্ত পড়া।

প্রতিকার

  • লবণ খাওয়া কমাতে হবে।
  • ওজন বেশি হলে ওজন কমাতে হবে।

  • নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে ও কর্ম তৎপরতা বাড়াতে হবে।

  • ধূমপান অবশ্যই বর্জন করতে হবে।

  • শাকসবজী ও ফলমুল বেশি করে খেতে হবে এবং চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।

ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-

www.facebook.com/groups/mycrushschool

অথিতি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-

write@thecrushschool.com