১৮২৭ সালে ব্রিটিশ উদ্ভিদবিদ রবার্ট ব্রাউন (Robert Brown) দেখেন যে, পোলেন কণাকে (পরাগরেণু) পানিতে রেখে দিলে তা বিস্ফোরিত হয়ে অতি ক্ষুদ্র কণিকাসমূহের সৃষ্টি করে। অণুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করে তিনি দেখতে পান যে কণিকাসমূহ অবিরাম ইতস্তত ভ্রমণশীল। কণার এরূপ ইতস্তত ভ্রমণকে ব্রাউনীয় গতি বলা হয়।
ব্রাউনীয় গতির ব্যাখ্যা : আণবিক গতিতত্ত্বের সাহায্যে সহজে ব্রাউনীয় গতির ব্যাখ্যা করা যায়। মনে করি, পানিতে একটি ক্ষুদ্র ভাসমান কণা আছে। ঐ কণা বহু সংখ্যক অণু দ্বারা পরিবেষ্টিত। এ অণুসমূহ সর্বদা বিভিন্ন দিকে ধাবমান। ফলে কিছু সংখ্যক অণু যে কোনো সময় ভাসমান কণাটিকে ধাক্কা দেয়। এ ধাক্কা বিভিন্ন দিক হতে আসে, কিন্তু সব দিকের ধাক্কা সমান না হওয়ায় কণিকা একদিকে ধাবিত হয়।
তোমরা অনেক সময় কানামাছি ‘ভৌ ভৌ” নামে একটি খেলা কর। একজন সহপাঠীর চোখ বেঁধে ছেড়ে দাও এবং একেক জন একেক দিক হতে ধাক্কা মারো, ফলে সে একেক বার একেক দিকে ছিটকে পড়ে। কণাটির অবস্থা ঠিক সে রকম। কণাটির আকার যত বাড়ে সকল দিক হতে ধাক্কার পরিমাণ তত বাড়ে, ফলে একটি দিকে অসমান ধাক্কার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। এ অবস্থায় ব্রাউনীয় গতি প্রায় শূন্য হয়।
পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
Related posts:
- কী প্রক্রিয়ায় গ্যাসের চাপের সৃষ্টি হয়? (What is the Process of Gas Pressure?)
- গতির প্রকারভেদ (Kinds of Motion)
- গতিশক্তি (Kinetic Energy)
- গ্যাসের গতিতত্ত্বের স্বীকার্যসমূহ কি কি?
- ঘর্ষণ (Friction)
- ত্বরণ (Acceleration)
- পড়ন্ত বস্তুর সূত্রাবলি (Formulas of Falling Objects)
- পদার্থবিজ্ঞানে কাজ (Work in Physics)
- পদার্থবিজ্ঞানে ক্ষমতা (Power in Physics)
- প্রসঙ্গ বিন্দু ও প্রসঙ্গ কাঠামো (Reference Point & Reference Frame)
- বিভিন্ন প্রকার ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া (Different types of Actions and Reactions)
- ভরবেগের নিত্যতা সূত্র : উদাহরণ
- ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্র (Law of Conservation of Momentum)
- সংঘর্ষ (Collision)
- সরল দোলক তৈরি (Building of Simple Pendulum)