সরলদোলক তৈরি করার ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডের সাহায্যে একটি হূক থেকে কোনো শক্ত সুতা দ্বারা একটি ক্ষুদ্র ভারী গোলক ঝুলিয়ে সরল দোলক তৈরি করা হয়। এ গোলককে বব বলে। এক্ষেত্রে কিছু হিসাব-নিকাশ করতে হয়। যেমন-
সরলদোলক তৈরি করতে L নির্ণয়
দোলকের ঝুলন বিন্দু থেকে ববের ভারকেন্দ্র পর্যন্ত দৈর্ঘ্যকে সরল দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য L বলে। প্রথমে একটি মিটার স্কেলের সাহায্যে সুতার ঝুলন বিন্দু অর্থাৎ, হুক থেকে ববের উপরিপৃষ্ঠ পর্যন্ত দূরত্ব l মেপে নেওয়া হয়। এরপর একটি স্লাইড ক্যালিপার্সের সাহায্যে ববের ব্যাস নির্ণয় করে ব্যাসার্ধ বের করা হয়। তাহলে দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য হয় L = l + r.
সরলদোলক তৈরি করতে T নির্ণয়
সরলদোলক তৈরি করার ক্ষেত্রে পর্যায়কাল বা দোলনকাল নির্ণয় করতে হয়। সরল দোলকের একটি পূর্ণ দোলনের যে সময় লাগে তাকে দোলনকাল বলে। দোলকটিকে সাম্যাবস্থা থেকে একপাশে এমনভাবে একটু টেনে ছেড়ে দেওয়া হয় যাতে এটি দুলতে থাকে এবং কৌণিক বিস্তার খুব অল্প হয়। একটি (স্টপওয়াচ) থামা ঘড়ির সাহায্যে কয়েকটি দোলনের যেমন 20 বা 25 দোলনের সময় নির্ণয় করে ঐ সময়কে দোলন সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে একটি দোলনের সময় অর্থাৎ, দোলনকাল T বের করা হয়।
গড় L / T2 নির্ণয়
সুতার দৈর্ঘ্য পরিবর্তন করে দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য L পরিবর্তন করা হয় এবং বিভিন্ন কার্যকরী দৈর্ঘ্যের জন্য দোলনকাল T নির্ণয় করে প্রতি ক্ষেত্রে L / T2 বের করে গড় নির্ণয় করা হয়। এ গড় মান g = 4π2 (L / T2) সমীকরণে বসিয়ে g এর মান হিসাব করা হয়।
সরলদোলন তৈরি করতে লেখচিত্র থেকে Lও T2 নির্ণয়
একটি ছক কাগজের X অক্ষের দিকে L এর বিভিন্ন মান এবং Y অক্ষের দিকে আনুষঙ্গিক T2 এর মান স্থাপন করে লেখচিত্র অঙ্কন করা হয়। লেখচিত্রটি মূলবিন্দুগামী একটি সরলরেখা হয়। এ সরলরেখার উপর যে কোনো একটি বিন্দু P নিয়ে P থেকে X অক্ষের উপর PM এবং Y অক্ষের উপর PN লম্ব টানা হয়।
তাহলে যে কোনো দৈর্ঘ্য L = OM এর জন্য দোলনকালের বর্গ T2 = ON পাওয়া যায়।
ফলাফল লেখচিত্র থেকে প্রাপ্ত এ L ও T2 এর মান g = 4π2 (L / T2) সমীকরণে বসিয়ে g এর মান হিসাব করা হয়। এভাবে সরলদোলক তৈরি করে তার হিসাব গুলো পাওয়া যায়।
g = 4π2 (L / T2)
or, g = 4π2 (OM / ON)
পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-