কার্বো ক্যাটায়ন কি?
কার্বো ক্যাটায়ন শব্দকে যদি তুমি ভেঙ্গে ফেলো তবে দুটো শব্দ পাবে।
- কার্বো- মানে কার্বন
- ক্যাটায়ন- মানে পজেটিভ চার্জ
অর্থাৎ যে কার্বন পজেটিভ চার্জ যুক্ত থাকে তাকে কার্বো ক্যাটায়ন বলে।
একটা যৌগের কথা চিন্তা করো, যার নাম ইথাইল ক্লোরাইড বা CH3-CH2-Cl. এই যৌগে C এবং Cl-এর মধ্যে বন্ধনটি তৈরি হয়েছে দুটো ইলেকট্রনের মাধ্যমে। যেখানে একটা ইলেকট্রন দিয়েছে কার্বন, আরেকটা দিয়েছে ক্লোরিন।
এই যৌগে ক্লোরিনের তড়িৎ ঋণাত্নকতা বা ইলেকট্রোনেগেটিভিটি বেশি। তাই সে তার পাশের কার্বনের সাথে যে Bond (বা বন্ধন) তৈরি করেছে সেই Bond এর দুটো ইলেকট্রনকে নিজের দিকে টেনে আনতে চায়।
ক্লোরিন যখন নিজের দিকে দুটো ইলেকট্রনকেই টেনে আনে তখন সে -ve চার্জ যুক্ত হয়ে যায়। ওদিকে কার্বন এই বন্ধনে একটি ইলেকট্রন দিয়েছিলো, ক্লোরিন সেটা নিয়ে যাওয়ায় সে +ve চার্জ যুক্ত হয়ে যায়।
এই +ve চার্জ যুক্ত কার্বনটাই হচ্ছে একটা কার্বো ক্যাটায়ন।
কার্বো ক্যাটায়নের বৈশিষ্ট্য
কার্বো ক্যাটায়নের দুটো main point আছে-
i. এরা বিক্রিয়ার মধ্যবর্তী / অভ্যন্তরীণ দশা বা Intermediate Stage.
ii. এরা অনেক বেশি সক্রিয়
মধ্যবর্তী দশ বলতে বোঝানো হয় যেসব পদার্থ বিক্রিয়ার শুরুতেও থাকে না এবং বিক্রিয়ার শেষেও থাকে না, শুধুমাত্র বিক্রিয়ার মাঝখানে তৈরি হয়। যেমন x নামক একটা যৌগ নিয়ে আমরা বিক্রিয়া শুরু করলে সেটা কিছুক্ষণ পর y যৌগে পরিনত হলো। আবার y কিছুক্ষণ পর বিক্রিয়া শেষে z যৌগে পরিনত হলো। তাহলে বিক্রিয়ক হচ্ছে x, উৎপাদ হচ্ছে z, কিন্তু বিক্রিয়ার অভ্যন্তরীণ দশা (বা Intermediate Stage) হচ্ছে y. কারন এটি বিক্রিয়ার মাঝখানে তৈরি হয়েছে।
আমাদের কার্বো ক্যাটায়ন গুলোও একটা বিক্রিয়ায় এমন অভ্যন্তরীণ দশা হিসেবে থাকে, কখনোই বিক্রিয়ার উৎপাদ (বা final product) হয় না।
কার্বো ক্যাটায়ন অনেক বেশি সক্রিয়। তাই এটি বিক্রিয়াতে তৈরি হবার সাথে সাথেই অন্য কারো সাথে বিক্রিয়া করে ফেলে। কার্বো ক্যাটায়নের সাথে +ve চার্জ থাকার জন্য এটি এত সক্রিয় (বা active)।
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
www.facebook.com/groups/mycrushschool
অথিতি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-
write@thecrushschool.com