কমিউনিকেশন সিস্টেম এর তিনটা পার্ট থাকে, এরা হলো-
- Sender বা প্রেরক যন্ত্র
- Channel বা মাধ্যম
- Receiver বা প্রাপক যন্ত্র
নিচে এদেরকে নিয়ে বিস্তারিত কিছু বিষয় জেনে আসি-
কমিউনিকেশন সিস্টেম এর Sender বা প্রেরক যন্ত্র
প্রেরক যন্ত্র বা Sender হচ্ছে কমিউনিকেশন সিস্টেম এর প্রথম অংশ যেটার মাধ্যমে আমরা কোনো মেসেজ বা ডেটা কে বহুদূরে পাঠাতে পারি। আমরা যখন দূরে কোথাও আমাদের কথাকে পাঠাতে চাই তখন আমাদের কথা এতদূর যেতে যেতে হারিয়ে যায়। তাই আমাদের কথাকে প্রথমে এনালগ ফরমেট থেকে ডিজিটাল ফরমেটে বা ইলেকট্রিক্যাল ফরমেটে রূপান্তর করা হয় এবং এই কাজটি করা হয় input transducer নামক এক ধরনের ডিভাইস এর মাধ্যমে। এর কারণ হচ্ছে এনালগ সিগন্যাল বা আমাদের কথাবার্তা আশেপাশের পরিবেশের জন্য নষ্ট হয়ে গেলেও ডিজিটাল সিগন্যাল বা ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল কখনোই বেশি পরিমাণ নষ্ট হতে পারে না।
Input Transducer এর একটা ভালো উদাহরণ হচ্ছে মাইক্রোফোন যেটা ভয়েস বা sound এনার্জিকে ইলেকট্রিক্যাল এনার্জিতে কনভার্ট করতে পারে। Input transducer থেকে বেরিয়ে আসা সেই ডিজিটাল সিগন্যালকে ট্রান্সমিটার নামক একটা ডিভাইসে ঢুকানো হয় যেখানে ডিজিটাল সিগনালের সাথে একটা ক্যারিয়ার সিগন্যাল যুক্ত করা হয়। ক্যারিয়ার সিগন্যালের কাজ হচ্ছে ডিজিটাল সিগন্যালকে যথেষ্ট পরিমান শক্তি বা এনার্জি দেওয়া যাতে সিগন্যাল টি অনেক দূরে যেতে পারে।
তাহলে আমরা বলতে পারি-
কমিউনিকেশন সিস্টেম এর Input Transducer হচ্ছে এনালগ সিগন্যাল কে ডিজিটাল বা ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল রুপান্তর করে, তাই একে A/D Converter বা এনালগ টু ডিজিটাল কনভার্টার বলে। Transmitter ডিজিটাল বা ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালকে নির্দিষ্ট পরিমান এনার্জি দেয় হয় যাতে সিগন্যালটি অনেক দূর যেতে পারে।
ট্রান্সমিটার একটা প্রসেসে ডিজিটাল সিগন্যালের সাথে ক্যারিয়ার সিগন্যালকে যুক্ত করে। এই প্রসেসকে মডুলেশন (Modulation) বলে। অর্থাৎ ট্রান্সমিটার নামক ডিভাইসের ভেতরে মডুলেশন ঘটে।
মাধ্যম বা Channel
চ্যানেল হচ্ছে এমন একটা মাধ্যম যেটা দিয়ে sender থেকে বের হওয়া সিগন্যাল তার গন্তব্যে পৌঁছে। চ্যানেল দিয়ে যাওয়ার সময় সিগন্যালটি বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে যাকে Noise বলে। এছাড়া সিগন্যালের আরও দুটি ক্ষতি হয়ে থাকে যাদের Attenuation এবং Distortion বলে। চ্যানেল দুই ধরনের হয়, একটা হচ্ছে তারযুক্ত চ্যানেল বা wire channel এবং আরেকটা হচ্ছে তারবিহীন চ্যানেল বা wireless channel. Co-axial Cable, Twisted pire Cable এবং optical fiber cable এগুলো হলো wire channel. আবার Microwave, Radiowave, Infrared Ray এগুলো হচ্ছে ওয়ারলেস চ্যানেল। অর্থাৎ wireless চ্যানেলে কোনো রকম cable বা তার যুক্ত থাকে না।
Receiver বা প্রাপক যন্ত্র
Receiver হচ্ছে এমন একটি ডিভাইস যেখানে sender থেকে যেকোন data চ্যানেলের মাধ্যমে চলে আসে। অর্থাৎ ডেটা বা মেসেজের শেষ গন্তব্য হচ্ছে রিসিভার। এই অংশটিতে একটা পার্ট থাকে যার নামই হচ্ছে রিসিভার যেটি চ্যানেল থেকে আসা carrier wave যুক্ত ডিজিটাল বা ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালকে Demodulation করে। কারণ ডিজিটাল সিগন্যাল এর সাথে যে ক্যারিয়ার সিগন্যাল যুক্ত করে দেয়া হয় সেটিকে সরানোর জন্য ডিমডুলেশন করা হয়। ডিজিটাল সিগন্যালকে ক্যারিয়ার সিগন্যাল থেকে মুক্ত রাখার প্রসেস হচ্ছে Demodulation.
তারপর এই ডিজিটাল সিগন্যালটি outout transducer নামক আরেকটা ডিভাইস দিয়ে চলে যায়। Output Transducer এর কাজ হচ্ছে ডিজিটাল সিগন্যালকে এনালগ সিগন্যালে রুপান্তরিত করা। তাই আমরা Outpur Transducer কে A/D Converter বা ডিজিটাল টু এনালগ কনভার্টার বলতে পারি।
মনে রাখতে হবে Sender টার্মিনাল দিয়ে যে সিগন্যাল ঢোকে সেটা এনালগ কিংবা ডিজিটাল যেকোন সিগন্যাল হতে পারে। এবার আমরা একটা টোটাল কমিউনিকেশন সিস্টেম দেখব –