বর্তমানে মানুষের দিন দিন রোবোটিক্স এর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। রোবট সম্পর্কে নকশা, গঠন এবং কাজ আলোচনা করার মাধ্যমকে রোবোটিক্স নামে পরিচিত। বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিংবা কৃএিম বুদ্ধিমত্তার ছোঁয়া পড়েছে রোবোটিক্সের মাধ্যমে। সাধারণত রোবট শব্দ থেকেই উৎপত্তি হচ্ছে রোবোটিক্স এর।
রোরট হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এক ধরণের ব্যবস্থা যা কিনা হুবুহু মানুষের আচার-আচরণ, চাল-চলন নকল করতে পারে।
রোবোটিক্সে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ সবচেয়ে বেশি।সাধারণত রোবোটের কোনো ধরণের আবেগ অনুভূতি নেই। মানুষ যেভাবে দিক নির্দেশনা প্রদান করবে রোরট সেই ভাবে কাজ সম্পাদন করবে। রোবটে আগে থেকে সব ধরণের দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই যতটুকু কাজ কিংবা দিক নির্দেশনা রোবটে ইনপুট করা হয় রোরট ঠিক ততটুকুই কাজ সম্পাদন করে থাকে।
বর্তমানে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান ভালো এবং উন্নমানের রোরট দিয়ে কাজ করে থাকে। তবে রোবটিক্স কিন্তু অনেক ব্যয়বহুল একটি ক্ষেত্র। রোবটিক্স হাজার হাজার লাইনের কোড করে তবেই একটি রোবটকে দাঁড় করানো হয়। তাই একটি রোবট তৈরি করতে দক্ষ প্রোগ্রামারের প্রয়োজন পড়ে। রোবট দিয়ে নির্ভুল এবং ক্লান্তিহীণ ভাবে কাজ করা যায়। অনেক প্রতিকূল এবং দুর্গম পরিস্থিতিতে রোরট কাজ করতে পারে। কিছু কিছু রোবটতো আবার হুবুহু মানুষের মতো কাজ সম্পাদন করে। সেই সকল রোবটের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জাপানের মুরাতা কোম্পানি “মুরাতা বয়”, সনি করপোরেশনের “আইবো”, হোন্ডা কোম্পানির “আসিমো” ইত্যাদি। একটি রোবট সাধারণত কতগুলো উপাদান এবং অংশের সমন্বয়ে গঠিত। যেমন :
১.প্রসেসর- প্রসেসর সাধারণত রোবটের মূল অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রসেসরই রোবটের চলাফেরা, কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়ে থাকে।
২.পাওয়ার সিস্টেম- সাধারণত রোবটে পাওয়ার সিস্টেমের প্রয়োজন হয়।তাই লেড ব্যাটারি দিয়ে রোবটের পাওয়ার সিস্টেম পরিচালনা করা হয়। লেড ব্যাটারি রিচার্জেবল। তাই চার্জশেষ হয়ে গেলেও লেড ব্যাটারি পুনরায় চার্জ করা যায়।
৩.একুয়েটর- সাধারণত রোরটকে কোন কিছু ধরার জন্য পেশি শক্তির প্রয়োজন পড়ে।তাই একুয়েটর দিয়ে কয়েকটি মোটরের সমন্বয়ে হাত পা তৈরি করা হয়।
৪.অনুভূতি- বিশেষ ধরণের সেন্সরের সাহায্য রোবটের সাহায্যে রোবটের মধ্যে অনুভুতি স্থাপন করা হয়। কোন ধরণের রোবটকে কাজের প্রয়োজনে ৩৬০ ডিগ্রি কোণে ঘুরানো হয়।
৫.ম্যানিপিউলশন- সাধারণত রোবটের হাত পা নাড়াচাড়া করার মাধ্যমকে ম্যানিপিউলেশন বলা হয়। এটিকে রোবটকে চলাচল করতে সাহায্য করে।
রোবটিক্স বর্তমানে অনেক অবদান রাখছে দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে শিল্প কারখানা অবধি। নিচে রোবটিক্সের গুরুত্ব এবং প্রয়োগ ক্ষেত্র তুলে ধরা হলঃ
১.শিল্প কারখানায় পণ্য উৎপাদন প্যাকিজিং এবং পরিবহণে রোবটিক্স এর ব্যবহার করা হয়।
২.বড় বড় যুদ্ধে বিমান গাড়ি চালনার ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করা হয়।
৩.সাধারণত অতিসূক্ষ্ণ ধরণের জিনিস তৈরি করতে রোবট ব্যবহার করা হয়।
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
www.facebook.com/groups/mycrushschool
অথিতি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-
write@thecrushschool.com

Maria Hasin Mim
I am Maria Hasin Mim. I am studying at Daffodil Institute of IT where I am studying at BSc in CSE (running). I love to write. I live in dhaka.
Related posts:
- অ্যাভোগাড্রোর সূত্র (Avogadro’s Law)
- আধান পরিবহণের মাধ্যম (Medium of Charge Carrier)
- কম্পিউটারের ধারণা
- জীববিজ্ঞানের ধারণা ও শাখা (Concept of Biology & its Branches)
- তড়িৎ বলের উপরিপাতন নীতি (Superposition Principle of Electric Force)
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কী? (What is ICT)
- থিয়োফ্রাস্টাস-এর কৃত্রিম শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতি (Artificial Taxonomy of Theophrastus)
- ধারক ও ধারকত্ব (Capacitor & Capacitance)
- পরিবাহিতা, আপেক্ষিক পরিবাহিতা ও অতিপরিবাহিতা (Conductance, Specific Conductance & Superconductivity)
- বলের ধারণা (Concept of Force)
- বিভিন্ন প্রকার ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া (Different types of Actions and Reactions)
- ভাইরাস কি (What is Virus)
- ভাইরাসের গঠন (The Structure of the Virus)
- সংখ্যা পদ্ধতির ধারণা (Concept of Number System)
- সৌরজগতের ধারণা (Concept of Solar System)