পরিবাহিতা
রোধের বিপরীত রাশিকে পরিবাহিতা বা Conductivity বলে। একে সাধারণত G দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
মনে করি একটি পরিবাহীর রোধ = R
তাহলে, G = 1/R
কোনো তারের বোধ 0.1 একক হলে, তার Conductivity, G = 1/0.1 = 10 একক হবে।
একক : যেহেতু রোধের বিপরীত রাশি পরিবাহিতা, সুতরাং এর একক রোধের এককের বিপরীত হবে। রোধের ব্যবহারিক একক ওম (ohm)। অতএর পরিবাহিতার একক (ohm)-1 বা মহো (mho)। এর অন্য একটি একক হলো সিমেন্স (siemens) বা সংক্ষেপে S.
আপেক্ষিক পরিবাহিতা
রোধের বিপরীত রাশিকে যেমন পরিবাহিতা বলে, তেমনি আপেক্ষিক রোধের বিপরীত রাশিকে আপেক্ষিক পরিবাহিতা (specific conductance) বা পরিবাহিতাঙ্ক (conductivity) বলা হয়। একে σ (সিগমা) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
পরিবাহিতা ও পরিবাহিতাঙ্কের মধ্যে সম্পর্ক : ধরো একটি পরিবাহীর আপেক্ষিক রোধ = ρ,
তাহলে পরিবাহিতাঙ্ক σ = 1/ρ
আবার, ρ = RA / l
or, σ = 1/ρ
= l / RA
= lG / A
আপেক্ষিক রোধের একক ও’ম-মিটার (Ω-m)। কিন্তু পরিবাহিতাঙ্ক-এর একক হলো (ও’ম-মিটার)-1 বা মহো/মিটার (mho/m)।
অতিপরিবাহিতা
তোমরা জানো যে, তাপমাত্রা কমলে পরিবাহীর রোধ কমে। কিছু পদার্থ আছে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার নিচে এদের রোধ শূন্য হয়। যেমন –269°C তাপমাত্রায় পারদ এবং –266°C তাপমাত্রায় সীসার রোধ শূন্য হয়। এ সমস্ত পদার্থকে বলা হয় অতিপরিবাহী এবং পদার্থের এ ধর্মকে বলা হয় অতিপরিবাহিতা (superconductivity)। অতি পরিবাহীর ভেতর দিয়ে বিরামহীনভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহ চলে। সাম্প্রতিককালে কিছু কিছু সিরামিক পদার্থে তুলনামূলকভাবে অধিক তাপমাত্রায় এই গুণ লক্ষ করা গেছে। যেমন (Bi2Sr2Ca2Cu3O7) সিরামিক কক্ষ তাপমাত্রায় অন্তরক হলেও –163°C তাপমাত্রার নিচে এটি অতিপরিবাহী হয় অর্থাৎ এর রোধ শূন্য হয়।
পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
Related posts:
- অর্ধপরিবাহী কাকে বলে
- ইলেকট্রনের তাড়ন বেগ
- ওজনের তারতম্য ও ওজনহীনতা
- ওহমের সূত্র (Ohm’s Law)
- কার্শফের ভোল্টেজ সূত্র
- কৃষ্ণবস্তুর বিকিরণ
- কোষের অভ্যন্তরীণ রোধ
- চার্লসের সূত্র
- তড়িচ্চালক বল (Electromotive Force)
- নিউটনের তৃতীয় সূত্র
- নিউটনের সূত্র
- পদার্থবিজ্ঞানে কাজ
- ভরবেগের নিত্যতা সূত্রের উদাহরণ
- ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্র
- স্লাইড ক্যালিপার্স