ধুমকেতু (Comet)
ধুমকেতু হচ্ছে মহাকাশে উড়ন্ত এক ধরনের বস্তু। প্রায়ই এটিকে মহাকাশে দেখা যায়। এর শরীরকে দুটো ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হচ্ছে মাথা এবং অপরটি হচ্ছে লেজ। ধূমকেতুর মাথা একটি শিলাখণ্ড নিয়ে তৈরি এবং লেজ হচ্ছে হালকা পদার্থ যেমন ধূলিকণা ও গ্যাস নিয়ে তৈরি।
মহাকাশে একটা নির্দিষ্ট শিলাখণ্ড প্রচন্ড বেগ নিয়ে চলতে থাকে এবং সেই শিলাখণ্ডের চারপাশে কিছু পানির কণা, অ্যামোনিয়া, মিথেন ইত্যাদি অবস্থান করে। এই শিলাখন্ডটি হচ্ছে ধূমকেতুর মাথা। যখন শিলাখণ্ডটি মহাকাশে প্রচন্ড বেগ নিয়ে চলে তখন তার সাথে মহাকাশের বিভিন্ন ধূলিকণা, গ্যাস ইত্যাদির সংঘর্ষ হয়। ফলে শিলাখণ্ডটির উপর একটা চাপ তৈরি হয়। এসব সংঘর্ষের ফলে ধূমকেতুর শরীর থেকে কিছু বিকিরণ তৈরি হয়। ধূমকেতুর মাথার দিকে এর বিকিরণের পরিমাণ বেশি থাকে এবং পেছনের অংশ বা লেজের দিকে বিকিরণের পরিমাণ কম থাকে। ধূমকেতু থেকে আলো বিকিরণ হবার ফলে তাদেরকে মহাকাশে দেখা যায়।
“হ্যালির ধূমকেতু” নামক ধূমকেতুটি মহাকাশে একটা জনপ্রিয় ধূমকেতু। প্রতি 76 বছর পর পর এটিকে মহাকাশে দেখা যায়।
উল্কা (Meteor)
বিভিন্ন গ্রহের ভাঙ্গা অংশ কিংবা শিলাখণ্ডকে উল্কা বলে। উল্কা মহাকাশে প্রচন্ড গতি নিয়ে চলতে থাকে যখন কোনো উল্কা পৃথিবীর কাছাকাছি আসে তখন সেটি পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের প্রভাবে বায়ুমণ্ডলের কাছে এসে চলতে থাকে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এর সাথে উল্কার যে ঘর্ষণ হয় তার ফলে প্রচণ্ড তাপ এবং আলো তৈরি হয়। এই আলোকে আমরা আকাশে দেখতে পাই এবং মনে করি উল্কা আকাশে উড়ে যাচ্ছে। তবে উল্কা যদি পৃথিবীর পাশ কেটে না গিয়ে একদম পৃথিবীর মধ্যে পড়ে তবে সেই জায়গাটায় একটা ভূমিকম্প তৈরি করতে পারে সে। তবে উল্কার সাইজ যদি অনেক ছোট হয় তবে সেটি কোনো ভূমিকম্প তৈরি করতে পারবে না।
একটা উল্কা যখন পৃথিবীতে পড়ে তখন সেটি গরম আগুনের গোলা হিসেবে পড়ে। উল্কা পৃথিবীতে পড়ার পর সেটা নিভে যেতে পারে কিংবা অনেকক্ষণ আগুনের গোলা হিসেবে আগুন ছড়াতে পারে।
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
www.facebook.com/groups/mycrushschool
অতিথি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-
write@thecrushschool.com
Related posts:
- অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট, পারসেক ও আলোক দিগন্ত (Astronomical Unit, Parsec & Light Horizon)
- গতির প্রকারভেদ (Kinds of Motion)
- গ্যাসের অণুর গতিবেগ হিসাবকরণ (Calculation of Molecular Velocities of Gases)
- নক্ষত্রপুঞ্জ (Constellation)
- নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা (The Brightness of Star)
- নক্ষত্রের জন্ম (Birth of Star)
- নক্ষত্রের মৃত্যু (Death of Star)
- নিক্ষিপ্ত বস্তু / প্রাস / প্রক্ষেপক (Projectile Particle)
- বিগ ব্যাং মডেল (Big bang Model)
- বিভিন্ন প্রকার ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া (Different types of Actions and Reactions)
- মহাজাগতিক বস্তু : ছায়াপথ
- মহাজাগতিক বস্তু : নীহারিকা
- সৌরজগতের ধারণা (Concept of Solar System)
- স্যাটেলাইটে কেপলারের সূত্র (Kepler’s Law of Satellite)
- হাবল টেলিস্কোপ (Hubble Telescope)