বিভব পার্থক্য
- একক ধনাত্নক চার্জকে বৈদ্যুতিক বর্তনীর এক বিন্দু হতে অন্য বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সাধিত হয় তাকে ঐ দুই বিন্দুর মধ্যে বিভব পার্থক্য বলে।
- বিভব পার্থক্য বর্তনীর যে কোনো দুই বিন্দুর মধ্যে বিদ্যুৎ চালনা করে।
- এটি বিদ্যুৎ প্রবাহের ফল।
- এটি কখনোই স্থির মানের হয় না, বর্তনীর একেক জায়গায় পরিবর্তিত হয় এর মান।
- বর্তনীর কোনো অংশের বিভব পার্থক্য তড়িচ্চালক শক্তি অপেক্ষা ছোট।
- এটি অপ্রত্যাবর্তক।
- বিভব পার্থক্য বর্তনীর যে কোনো দুই বিন্দুর মধ্যে ঘটে।
- বিভব পার্থক্য বর্তনীর দুই বিন্দুর রোধের উপর নির্ভর করে।
- বর্তনীর যে অংশে বিদ্যুৎ শক্তি অন্য কোনো শক্তিতে পরিণত হয় ঐ অংশে বিভব পার্থক্য আছে বলে বুঝা যায়।
তড়িচ্চালক বল
- খোলা বর্তনীতে বিদ্যুৎ কোষের দুই পাতের মধ্যে সৃষ্ট বিভব বৈষম্যকে তার তড়িচ্চালক শক্তি বলে।
- তড়িচ্চালক শক্তি কোষের ভেতরে ও বাইরে বিদ্যুৎ চালনা করে।
- তড়িচ্চালক শক্তি বিদ্যুৎ প্রবাহের কারণ।
- তড়িচ্চালক শক্তি বর্তনীর কোনো অংশের বিভব পার্থক্য অপেক্ষা বড়।
- এটি প্রত্যাবর্তক।
- তড়িচ্চালক শক্তি সমগ্র বর্তনীতে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করে।
- তড়িচ্চালক শক্তি বর্তনীর রোধের উপর নির্ভর করে না।
- তড়িচ্চালক শক্তির মান স্থির থাকে।
- বর্তনীর যে অংশে অন্য কোনো শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত হয়, ঐ অংশে তড়িচ্চালক শক্তি আছে বুঝা যায়।
পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
Related posts:
- অভিক্ষেপ ও উপাংশের মধ্যে পার্থক্য (Difference Between Projection & Component)
- ও’মের সূত্রের প্রমাণ (Verification of Ohm’s law)
- ও’হমের সূত্র (Ohm’s Law)
- কোষের অভ্যন্তরীণ রোধ (Internal Resistance of a Cell)
- ঘাত বল ও বলের ঘাত (Impulsive Force & Impulse of a Force)
- তড়িচ্চালক বল (Electromotive Force)
- তড়িৎ প্রাবল্য ও তড়িৎ বিভবের মধ্যে সম্পর্ক (Relation between Electric Intensity and Electric Potential)
- তড়িৎ বলের উপরিপাতন নীতি (Superposition Principle of Electric Force)
- তড়িৎ বিভব (Electric Potential)
- বলের ধারণা (Concept of Force)
- বিভব পার্থক্য (Potential Difference)
- বিভব শক্তি (Potential Energy)
- ভর ও ওজনের পার্থক্য (Difference Between Mass & Weight)
- সমবিভব তল (Equipotential Surface)
- সরল বর্তনীতে ও’মের সূত্রের প্রয়োগ (Application of Ohm’s Law in a Simple Circuit)