তড়িৎ ক্ষেত্র

যে জিনিস দিয়ে অত্যন্ত ক্ষুদ্র মানের কাল্পনিক চার্জকে বোঝানো হয়, যা অন্য কোনো চার্জের উপর বল প্রয়োগ করে না, অর্থাৎ আশেপাশের চার্জকে প্রভাবিত করে না, তাকে পরখ চার্জ বা Test Charge বলে।

প্রত্যেক চার্জিত বস্তুর চারপাশে একটি অঞ্চল আছে, যে অঞ্চল জুড়ে এর প্রভাব দেখা যায়। একটি বিন্দু চার্জের চারপাশে বিশাল অঞ্চল জুড়ে এর প্রভাব লক্ষ করা যায়। ঐ অঞ্চলে একটি পরখ চার্জ স্থাপন করলে এটি তড়িৎ বল অনুভব করে। পরখ চার্জটি বিন্দু চার্জের কাছে আনলে বলের মান বাড়ে এবং দূরে সরিয়ে নিলে বলের মান কমে যায়। অনেক দূরে সরিয়ে নিলে বলের মান এত কমে যায় যে তা পরিমাপ করা সম্ভব হয় না। কুলম্বের সূত্র থেকে আমরা দেখেছি যে, এই বলের প্রকৃতি মহাকর্ষীয় বলের মত। মহাকর্ষীয় বল ও কুলম্ব বল দুটোই দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক সূত্র অনুসরণ করে এবং এই দুই ধরনের বল অসীম দূরত্ব পর্যন্ত কাজ করতে পারে। যদিও দূরত্ব অনেক বাড়লে বলের মান অত্যন্ত কম হয় এবং পরিমাপ করা সম্ভব হয় না।

এখন একটি বিন্দু চার্জের কাছাকাছি কোথাও একটি পরখ চার্জ আনলে সেটা বল অনুভব করে। কিন্তু আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, চার্জ দুটির মধ্যে কোনো ভৌত সংযোগ নেই, তারপরেও কেনো তারা বল অনুভব করবে? বিখ্যাত বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে প্রথম লক্ষ করেন যে, ঐ বিন্দু চার্জের চারদিকে এক ধরনের আলোড়ন তৈরি হয়, যার ফলে ঐ অঞ্চলে কোনো পরখ চার্জ স্থাপন করলে সেটা বল অনুভব করে। তিনি এই আলোড়নের নাম দেন তড়িৎ ক্ষেত্র বা Electric Field। তাই তড়িৎ ক্ষেত্র বলতে বোঝায়-

কোনো একটি চার্জিত বস্তুর চারদিকে যে অঞ্চল জুড়ে তার প্রভাব কাজ করে সেই অঞ্চলকে চার্জিত বস্তুর তড়িৎ ক্ষেত্র বা Electric Field বলে।

পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-

www.youtube.com/crushschool

ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-

www.facebook.com/groups/mycrushschool