জাতিজনি শ্রেণীবিন্যাস

ড. আরমেন তাখতাইয়ান (Dr. Armen Takhtajan, 1910–2009) ১৯৯৭ সনে তার Diversity and Classification of Flowering Plants নামক বইতে আবৃতবীজী উদ্ভিদের যে শ্রেণীবিন্যাস উপস্থাপন করেন তা উদ্ভিদজগতের সর্বাধুনিক শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এটি একটি পরিপূর্ণ জাতিজনি শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতি৷ এ শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী আবৃতবীজী উদ্ভিদকে ১টি বিভাগ, ২টি শ্রেণী, ১৭টি উপশ্রেণী, ৭১টি অধিবর্গ, ২২৮টি বর্গ এবং ৫৮৯টি গোত্রে বিভক্ত করা হয়েছে৷

 

প্রাকৃতিক ও জাতিজনি শ্রেণীবিন্যাসের মধ্যে পার্থক্য

প্রাকৃতিক শ্রেণিবিন্যাস

  • সম্ভাব্য সর্বাধিক বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিনাস করা হয়।
  • একক (unit or taxon) এর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম।
  • এককগুলোকে বিবর্তনের ধারা অনুযায়ী (আদি উন্নত) সাজানো হয় না।
  • সাধারণত বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করা হয়।
  • এককসমূহের উৎপত্তি ও পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয় না।
  • আদি ও উন্নত গ্রুপ সম্পর্কে কোন ধারণা প্রকাশ করেনা।

জাতিজনি শ্রেণীবিন্যাস

  • সম্ভাব্য সর্বাধিক বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে এই শ্রেণীবিন্যাস করা হয়।
  • একক-এর সংখ্যা অনেক।
  • এককগুলোকে বিবর্তনের ধারা অনুযায়ী সাজানো হয়।
  • বাহ্যিক অঙ্গসংস্থানিক, ক্রোমোসোমীয়, এনাটমিক্যাল, রাসায়নিক, ভূতাত্ত্বিক ইত্যাদি সকল শাখার বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করা হয়।
  • এককসমূহের উৎপত্তি ও পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়।
  • আদি ও উন্নত গ্রুপ সম্পর্কে সুস্পষ্ট চিত্র ফুটে ওঠে।

পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-

www.youtube.com/crushschool

ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-

www.facebook.com/groups/mycrushschool