গ্যাস ও বাষ্পের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে জানবো এখন। সাধারণভাবে, পদার্থের গ্যাসীয় অবস্থা বুঝাতে আমরা ‘বাষ্প’ এবং ‘গ্যাস’ উভয় শব্দই ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এদের মধ্যে একটি বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। পরীক্ষালব্ধ ফলাফলে দেখা গেছে যে প্রত্যেক গ্যাসীয় পদার্থকে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার নিচে রেখে উপযুক্ত চাপ প্রয়োগ করলে তরলে পরিণত হয়। কিন্তু গ্যাসীয় পদার্থটি ঐ নির্দিষ্ট তাপমাত্রার উপরে থাকলে যত চাপই প্রয়োগ করা হোক না কেন গ্যাসটি তরলে পরিণত হয় না। এই নির্দিষ্ট তাপমাত্রাকে গ্যাসটির ক্রান্তি তাপমাত্রা (critical temperature) বলে। বিভিন্ন গ্যাসীয় পদার্থের জন্য ক্রান্তি তাপমাত্রা ভিন্ন ভিন্ন। যেমন জলীয় বাষ্পের ক্রান্তি তাপমাত্রা 361°C, অক্সিজেনের -119°C, হাইড্রোজেনের -240°C ইত্যাদি। উপরের আলোচনা হতে আমরা গ্যাসগ্যাস ও বাষ্পের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে নিম্নোক্ত সংজ্ঞা দিতে পারি।
বাষ্প : কোনো গ্যাসীয় পদার্থের তাপমাত্রা এর ক্রান্তি তাপমাত্রা অপেক্ষা কম হলে তাকে বাষ্প বলে। ঐ অবস্থায় গ্যাসীয় পদার্থকে চাপ প্রয়োগ করে তরলে পরিণত করা যায়।
গ্যাস : কোনো পদার্থ এর ক্রান্তি তাপমাত্রা অপেক্ষা অধিক তাপমাত্রায় থাকলে তাকে গ্যাস বলে। গ্যাসকে শুধুমাত্র চাপ প্রয়োগে তরলে পরিণত করা যায় না। সাধারণ তাপমাত্রায় যে সকল গ্যাসকে কেবল চাপ প্রয়োগে তরলে পরিণত করা যায় না, সেগুলোকে স্থায়ী গ্যাস (permanent gas) বলে। যেমন অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম ইত্যাদি। অতএব এগুলোই হচ্ছে গ্যাস ও বাষ্পের মধ্যে পার্থক্য।