আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে

আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে এটা জানার আগে জানতে হবে একই পদার্থ তিন অবস্থায় থাকে কেন? এবং তাপমাত্রার ওপরে এ অবস্থাসমূহ নির্ভরশীল কেন? যে কোনো বস্তু অতি ক্ষুদ্র কণা দ্বারা গঠিত, তাদেরকে সে বস্তুর অণু বলা হয়। অণুসমূহ পরস্পরকে আকর্ষণ করে। যেমন, বরফে বা পানিতে অণুগুলো পরস্পরকে আকর্ষণ করে বলেই এরা একত্রে থাকে। এ আকর্ষণ শক্তিকে আন্তঃআণবিক শক্তি বলা হয়। আকর্ষণের পরিমাণ বস্তুর প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে।

আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে

আন্তঃআণবিক শক্তির কারণে অণুসমূহ পরস্পরের সন্নিকটে থাকতে চায়। অপরদিকে অণুসমূহ সর্বদা কম্পমান থাকে। তাপমাত্রা যত বাড়ে, কম্পনও তত বাড়ে। তাপশক্তির কারণে তাদের মধ্যে গতির সঞ্চার হয়। যার ফলে অণুসমূহ পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন হতে চায়। আন্তঃআণবিক শক্তির তুলনায় অণুসমূহের গতিশক্তি অনেক কম হলে অণুসমূহ নির্দিষ্ট অবস্থানে বিরাজ করে। তখন কঠিন অবস্থার সৃষ্টি হয়।

তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে কম্পন শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে এমন অবস্থায় পৌঁছে যে অণুসমূহ আর নির্দিষ্ট স্থানে বিরাজ করে না, চলাচল করে। তখন তরল অবস্থার সৃষ্টি হয়। তাপমাত্রা আরো বাড়ালে অণুসমূহের গতিশক্তি এত বৃদ্ধি পায় যে তারা পরস্পর হতে অনেক দূরে সরে যায় এবং প্রায় মুক্তভাবে চলাচল করে। তখন গ্যাসীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়।

আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে

একটি বিষয় তোমরা নিশ্চয় বুঝতে পারছ যে বস্তুর অণুসমূহের মধ্যে বেশ আকর্ষণ বিদ্যমান। তাদেরকে পরস্পর হতে বিছিন্ন করতে অনেক তাপ দিতে হবে। অর্থাৎ বস্তুর আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি হলে তার গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক খুব বেশি হয়। যেমন, সাধারণ লবণের গলনাঙ্ক 801°C ও স্ফুটনাঙ্ক 1465°C।

অপরদিকে বস্তুর আন্তঃআণবিক শক্তি খুব কম হলে নিম্ন তাপমাত্রাতেই তার অণুসমূহ পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন হতে পারে। যেমন, হাইড্রোজেনের আন্তঃআণবিক শক্তি খুবই কম, তাই সাধারণ তাপমাত্রায় এটি গ্যাস। পানির অণুসমূহের মধ্যকার আন্তঃআণবিক শক্তি সাধারণ লবণের ন্যায় অত্যাধিক বেশি না হলেও মোটামুটি বেশি। পানির স্ফুটনাঙ্ক 100°C এবং গলনাঙ্ক 0°C। তাহলে এই আলোচনা থেকে বোঝা গেলো আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে।

পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-

www.youtube.com/crushschool

ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-

www.facebook.com/groups/mycrushschool