প্রাণিবিজ্ঞান পরিচিতি

প্রাণিবিজ্ঞান পরিচিতি নিয়ে জানতে হলে আগে জানতে হবে সাম্প্রতিক নানাবিধ উপাদানের উন্নতির সাথে সাথে আধুনিক মানবসভ্যতাও হচ্ছে উন্নতত্তর। এসবের মূলে রয়েছে বিজ্ঞানের অবদান। আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে রয়েছে বিজ্ঞানের উৎকর্য ও তার প্রয়োগ। নতুন নতুন আবিষ্কারে খুলে যাচ্ছে নতুন দিগন্ত। তাই বলা যায়, বিজ্ঞানের ভবিষাৎ সীমাহীন।

যদিও বিজ্ঞানের আভিধানিক অর্থ জ্ঞান (ল্যাটিন scientia = knowledge বা জ্ঞান), তবু সত্যিকার অর্থে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রমাণ ও যুক্তি দিয়ে আহরিত সুসংবদ্ধ ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত জ্ঞানকেই বিজ্ঞান বা সায়েন্স (science) বলে। বিজ্ঞানের দ্রুত অগ্রগতির সূচনা হয় আজ থেকে তিন’শ বছর আগে, অষ্টাদশ শতকে। শুরু হয় বিজ্ঞানের যুগ, এনে দেয় মানবজাতির জন্য প্রভূত সম্পদ ও স্বাচ্ছন্দ। বিজ্ঞান অবিরত প্রাকৃতিক সত্যের উদ্ঘাটন করে নিয়ত সমৃদ্ধশালী হচ্ছে।

প্রাণিবিজ্ঞান পরিচিতি জীববিজ্ঞানের অন্যতম শাখা। এ শাখায় বিভিন্ন প্রাণী সম্বন্ধে বিবিধ আলোচনা ও তথ্য পরিবেশিত হয়। দুটি গ্রীক শব্দের সমন্বয়ে Zoology শব্দ গঠিত, zoon = animal বা প্রাণী এবং logos = discourse বা আলোচনা। নিবীড় পর্যবেক্ষণ, তীক্ষ্ম অনুসন্ধান এবং যুক্তিগ্রাহ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ এ সবই প্রাণিবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন প্রাণীর অভাব, বাসস্থান, বিস্তার, গঠনবৈশিষ্ট্য, শারীরবৃত্তীয় কাজ, বংশগতি, বিবর্তন প্রভৃতি প্রসঙ্গে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করা যায় প্রাণিবিদ্যা চর্চার মাধ্যমে অর্থাৎ-

জীববিজ্ঞানের যে শাখায় পৃথিবীর সকল প্রাণীর স্বভাব, বাসস্থান, গঠন, উৎপত্তি, জৈবনিক কার্যাবলী, পারস্পরিক ও পারিপার্শ্বিক সম্পর্ক, বংশগতি, বিবর্তন, বৈচিত্র্য, গুরুত্ব, সংরক্ষণ ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তাকে প্রাণিবিজ্ঞান বলে।

প্রাণিবিজ্ঞান পরিচিতি

প্রাণিবিজ্ঞান পরিচিতি

এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রাণী কারা? আধুনিক সংজ্ঞানুযায়ী, যে সব বহুকোষী ইউক্যারিওটিক জীব নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না, বরং অন্য জীব বা জৈব পদার্থ আহার করে, সে সব জীবকে প্রাণী বলে।

আগে যে সংজ্ঞা প্রচলিত ছিল তাতে উন্নত উদ্ভিদ ও প্রাণীকে সুস্পষ্ট চিহ্নিত করা যেত, কিন্তু নিচুস্তরের উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য দেখানো দুঃসাধ্য ছিল। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে হুইটেকার (whitaker) একটি পাঁচ জগত (five kingdom) শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতির প্রস্তাব করেন। তিনি সবধরণের কোষীয় জীবকে পাঁচটি জগত (Kingdom)-এ বিভক্ত করেন। এগুলো হচ্ছে- Monera, Protista, Plantae, Fungi এবং Animalia। পরবর্তীতে মারগুলিস (Margulis, 1974), হুইটেকারের শ্রেণীবিন্যাসকে পরিবর্তিত ও বিস্তারিত করেন। এভাবে প্রাণিবিজ্ঞান পরিচিতি আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রাণীর বৈশিষ্ট্য

  • এরা বহুকোষী জীব।
  • কোষের নিউক্লিয়াস ইউক্যারিওটিক (eukaryotic) ধরনের।
  • এদের কোষে কোষপ্রাচীর ও প্লাস্টিড নেই।
  • এদের পুষ্টি হলোজয়িক ধরনের অর্থাৎ জটিল জৈব পদার্থ আহার করে।
  • এরা সচল অর্থাৎ সাধারণত চলাচলে সক্ষম।
  • এরা স্থায়ী ও সুনির্দিষ্ট দেহাকৃতিবিশিষ্ট।
  • সংবেদী অঙ্গের মাধ্যমে পরিবেশের প্রতি দ্রুত সাড়া প্রদান করে।

পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-

www.youtube.com/crushschool

ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-

www.facebook.com/groups/mycrushschool