পরিমাপের যন্ত্রপাতি

পরিমাপের যন্ত্রপাতি হচ্ছে পরিমাপের জন্য আমরা বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করে থাকি, সেগুলোই পরিমাপের যন্ত্রপাতি। পরিমাপের ক্ষেত্রে বিভিন্নতার জন্য এবং অধিকতর সঠিকতা অর্জনের লক্ষ্যেই প্রধানত এসব যন্ত্রের ব্যবহার করে থাকি। বৈজ্ঞানিক পরিমাপের ক্ষেত্রে যেসব যন্ত্রাদি সচরাচর ব্যবহৃত হয় তাদের থেকে আমরা নিম্নোক্ত যন্ত্রগুলো নিয়ে জানার চেষ্টা করবো-

  • মিটার স্কেল (Metre Scale)

  • ভার্নিয়ার স্কেল (Vermier Scale)

  • স্লাইড কালিপার্স (Slide Callipers)

  • স্ক্রু গজ (Screw Gauge)

  • তুলাযন্ত্র (Balance)

পরিমাপের যন্ত্রপাতি : মিটার স্কেল

পরীক্ষাগারে দৈর্ঘ্য পরিমাপের সবচেয়ে সরল যন্ত্র হল মিটার স্কেল এর দৈর্ঘ্য 1 মিটার বা 100 সেন্টিমিটার। এজন্য একে মিটার স্কেল বলা হয়। এ স্কেলের এক পার্শ্ব সেন্টিমিটার এবং অপর পার্শ্ব ইঞ্চিতে দাগ কাটা থাকে। প্রত্যেক সেন্টিমিটারকে সমান দশ ভাগে ভাগ করা থাকে। এ প্রত্যেকটি ভাগকে বলা হয় 1 মিলিমিটার বা 0.1 সেন্টিমিটার। প্রত্যেক ইঞ্চিকে সমান আট ভাগ, দশ ভাগ বা যোল ভাগে ভাগ করা হয়।

পরিমাপের যন্ত্রপাতি

মিটার স্কেলের সাহায্যে যে দন্ড বা কাঠির দৈর্ঘ্য মাপতে হবে তার একপ্রান্ত স্কেলের 0 দাগে বা কোনো সুবিধাজনক দাগে স্থাপন করতে হবে। দণ্ডের অপর প্রান্ত স্কেলের যে দাগের সাথে মিশেছে তার পাঠ নিতে হবে। দণ্ডের দুটি প্রান্ত পাঠের বিয়োগফল হলো দণ্ডের দৈর্ঘ্য। সাধারণভাবে যে দণ্ডের দৈর্ঘ্য মাপতে হবে তার বাম প্রান্ত সেলের x দাগে স্থাপন করলে যদি ডান প্রাস্ত y দাগের সাথে মিশে যায় তবে দন্ডের দৈর্ঘ্য L হবে, L = y − x। এ স্কেলের সাহায্যে মিলিমিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্য সঠিকভাবে মাপা হয়। এর চেয়ে সূক্ষ্ম পরিমাপ করতে হলে ব্যবহার করতে হয় ভার্নিয়ার স্কেল। কাজেই এগুলোই হচ্ছে পরিমাপের যন্ত্রপাতি।