যে সমস্ত পদার্থের মধ্য দিয়ে চার্জ বা তড়িৎ প্রবাহিত হয় বা প্রবাহিত হতে চায়, তাদেরকে তড়িৎ মাধ্যম বলে। মাধ্যম তিন প্রকার-
(1) পরিবাহী (Conductor) : যে সব পদার্থের মধ্য দিয়ে চার্জ বা তড়িৎ অতি সহজেই প্রবাহিত হয় তাদেরকে পরিবাহী বলে। যেমন- ধাতু (যেমন তামা, রূপা, সোনা, লোহা ইত্যাদি), মানবদেহ, এসিড, মাটি, এসিড মিশ্রিত পানি, অম্ল, ক্ষার প্রভৃতির মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ সহজে বাহিত হয়। সুতরাং এরা পরিবাহী। তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে পরিবাহী পদার্থের তড়িৎ পরিবাহিতা হ্রাস পায়।
(২) অর্ধ-পরিবাহী (Semi-conductor) : যে সব পদার্থের মধ্য দিয়ে আংশিকভাবে চার্জ বা তড়িৎ চলাচল করে তাদেরকে অর্ধ-পরিবাহী বলে। যেমন- জার্মেনিয়াম সিলিকন, গ্যালিয়াম, আর্সেনাইড ইত্যাদি। ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরির কাজে অর্ধপরিবাহী পদার্থের ব্যবহার সর্বাধিক। তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে অর্ধপরিবাহী পদার্থের তড়িৎ পরিবাহিতা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
(৩) অপরিবাহী বা অন্তরক (Non-conductor or Insulator) : যে সব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ চলাচল করে না তাদেরকে অপরিবাহী বা অন্তরক বলে। যেমন- কাচ, রেশম, রবার, ইবোনাইট, অভ্র, পোর্সেলিন মোম, গন্ধক, শুকনা কাঠ প্রভৃতির মধ্য দিয়ে তড়িৎ সহজে চলাচল করে না। এরা অপরিবাহী।
অন্তরীত পরিবাহী (Insulated conductor) : তড়িৎ সংক্রান্ত কাজে যেসব পদার্থ সংযোজক হিসেবে ব্যবহৃত হয় তারা সাধারণত অপরিবাহী বা কুপরিবাহী পদার্থ দ্বারা আবৃত থাকে। ফলে সংযোগটি অন্য কোনো পরিবাহী পদার্থে ঠেকে গেলেও কোনো বিঘ্ন ঘটে না। এরূপ একটি পদার্থকে অন্তরীত পরিবাহী বলে।
পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-