জীবদেহে অন্যতম গুরুপ্তপূর্ণ উপাদান হচ্ছে প্রোটিন। যদি প্রোটিন অণুকে আমরা ভাঙ্গতে থাকি তবে আমরা অনেকগুলো amino acid এর অণু পাবো। প্রোটিনকে তৈরি করার জন্য আরো একটা গুরুপ্তপূর্ণ উপাদান থাকে আমাদের শরীরে যার নাম nucleic acid.
আমাদের শরীরে দুই ধরনের নিউক্লিক এসিড থাকে- DNA (Deoxyribonucleic Acid) এবং RNA (Ribonucleic Acid). এই দুটো নিউক্লিক এসিড হচ্ছে এক ধরনের সরলরৈখিক পলিমার বা linear polymer যেগুলো অনেকগুলো নিউক্লিওটাইড নামক মনোমার নিয়ে তৈরি। প্রতিটা নিউক্লিওটাইডে আবার তিনটি element থাকে- Nitrogen Base, Sugar Molecules এবং Phosphate Group. তাই এরা তিনজন মিলে একটা নিউক্লিওটাইড মনোমার তৈরি করে। DNA তে চার ধরনের nitrogen base থাকে, যাদের নাম – এডেনিন (A), গুয়ানিন (G), সাইটোসিন (C), থায়োমিন (T).
আমরা জেনেছিলাম প্রোটিনের প্রতিটা amino acid একে অপরের সাথে peptide bond দিয়ে যুক্ত থাকে। কিন্তু নিউক্লিক এসিডের মধ্যে প্রতিটা নিউক্লিওটাইড একে অপরের সাথে phosphodiester bond দিয়ে যুক্ত থাকে। এভাবে একটা সম্পূর্ণ DNA তৈরি হয় যার গঠন Double Helix. Double Helix বলতে বোঝায় DNA এর দুটো সুতা বা strands কে যারা একে অপরের বিপরীত দিক বরাবর অবস্থান করে। এই ধরনের অবস্থানের আরেক নাম হচ্ছে Anti parallel অবস্থান।
পাশাপাশি দুটো strand এর মধ্যে দুটো nitrogen base একে অপরের সাথে hydrogen bond দিয়ে যুক্ত থাকে। অর্থাৎ এই bond এর জন্য DNA এর ভেতরের দিকে hydrophobic region থাকে। আবার DNA এর বাইরের দিকে phosphate group থাকে বলে এরা DNA এর চারপাশে -ve charge তৈরি করে। এই চার্জকে DNA কে hydrophilic বৈশিষ্ট্য প্রদান করে।
DNA হচ্ছে এমন এক ধরনের biological molecule যেটা আমাদের genetic information গুলোকে জমা করে রাখে। DNA এর nitrogen base এর যে সিকুয়েন্স থাকে সেই সিকুয়েন্সের মধ্যে এই genetic information জমা থাকে। কেননা DNA এর phosphate group এবং sugar কোনো পরিবর্তিত হয় না, কিন্তু nitrogen base বারবার পরিবর্তিত হয়ে একটার পর আরেকটা বসে। যখন আমাদের শরীর কোনো প্রোটিনকে বানায় তখন সেটি DNA এর genetic information কে কাজে লাগায়। ফলে সেই information গুলোর উপর ভিত্তি করে প্রোটিনের structure তৈরি হয়। তবে DNA থেকে genetic code গুলো সরাসরি প্রোটিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয় না। DNA এর কোডগুলোকে প্রথমে RNA এর মাধ্যমে translate করতে হয় যাতে আমাদের কোষ সেসব কোডকে বুঝতে পারে, তারপর RNA থেকে পাওয়া কোডগুলো কাজে লাগিয়ে আমাদের কোষের ribosome নতুন প্রোটিন তৈরি করে।
DNA প্রতিনিয়ত নিজের অনুলিপি তৈরি করে replication process এর মাধ্যমে। অর্থাৎ একটা DNA ভেঙ্গে আরো দুটো একই ধরনের DNA তৈরি হয় এই প্রসেসে।
RNA সবসময় একটা সুতা বা strand গঠন করে থাকে। তবে এরা নিজেরা আবার একত্রিত হয়ে secondary অথবা tertiary structure গঠন করে। এর গঠন ঠিক DNA এর মতই তবে এর nitrogen base এর মধ্যে থায়োমিন থাকে না, এর পরিবর্তে ইউরাসিল (U) থাকে।
বিভিন্ন ধরনের RNA molecule আমাদের কোষের মধ্যে পাওয়া যায়, এগুলা হচ্ছে- messenger RNA (mRNA), ribosomal RNA (rRNA), transfer RNA (tRNA). এসব RNA গুলো সবাই প্রোটিন সংশ্লেষ বা protein synthesis করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
www.facebook.com/groups/mycrushschool
অতিথি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-
write@thecrushschool.com
Related posts:
- অ্যামিনো এসিড (Amino Acid)
- জিন (Gene)
- জীব কোষের উপাদান : রাইবোসোম
- জীবদেহের নিউক্লিক এসিড
- ডিএনএ অনুলিপিকরণ (DNA Replication)
- ডিএনএ এর গঠন
- ডিএনএ এর রাসায়নিক গঠন (Chemical Structure of DNA)
- ডিএনএ কিভাবে প্রাণির বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে? (How does DNA control the characteristics of Animals?)
- ডিএনএ ট্রান্সক্রিপশন (DNA Transcription)
- ডিএনএ ট্রান্সলেশন (DNA Translation)
- ডিএনএ থেকে ক্রোমোজোম (From DNA to Chromosome)
- প্রোটিন – Protein
- প্রোটিনের গঠন (Structure of Protein)
- রেস্ট্রিকশন এনজাইম – Restriction Enzyme
- শর্করা – Carbohydrate