মহাসাগর

যে বিশাল পানিরাশিতে ভূত্বকের নিচু অংশগুলো পরিপূর্ণ রয়েছে, তাকে বারিমণ্ডল বলে। মহাসাগর, সাগর, উপসাগর, হ্রদ প্রভৃতি নিয়ে বারিমণ্ডল গঠিত। উন্মুক্ত বিস্তীর্ণ পানিরাশিকে মহাসাগর বলে। পৃথিবীতে পাঁচটি মহাসাগর রয়েছে- প্রশান্ত মাহাসগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, উত্তর মহাসাগর (আর্কটিক মহাসাগর) এবং দক্ষিণ মহাসাগর (এ্যান্টর্কটিক মহাসাগর)। মনে রাখতে হবে, জলরাশির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ গোলার্ধে।

 

বিভিন্ন ধরনের মহাসাগর

প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)

পৃথিবীর বৃহত্তম ও গভীরতম মহাসাগর। এর আয়তন- ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার। পৃথিবীর গভীরতম স্থান প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা ট্রেঞ্চ। এই স্থানের গভীরতা ১১০৩৩ মিটার বা ৩৬১৯৯ ফুট। পৃথিবীর বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর ‘গ্রেট বেরিয়ার রীফ’ (Great Barrier Reef) অস্ট্রেলিয়ার উত্তরপূর্ব উপকূলে অবস্থিত।

আটলান্টিক মহাসাগর (Atlantic Ocean)

এই মহাসাগরের গভীরতম স্থানের নাম ন্যায়ার্স (পোয়ের্তেরিকা)। আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমে আমেরিকা মহাদেশ এবং পূর্বে ইউরোপ এবং আফ্রিকা মহাদেশ। এর আয়তন- ৮ কোটি ৫১ লক্ষ ৩৩ হাজার বর্গ কিমি। 

ভারত মহাসাগর (Indian Ocean)

এর গভীরতম স্থানের নাম সুন্দা ট্রেঞ্চ। আটলান্টিক ও ভারত উভয় মহাসাগরের তীরবর্তী দেশ -দক্ষিণ আফ্রিকা। আয়তন ৭ কোটি ৫ লক্ষ ৬০ হাজার বর্গ কিমি।

দক্ষিণ মহাসাগর (South Ocean)

এটির আয়তন-১ কোটি ৪৭ লক্ষ বর্গকিলোমিটার।

উত্তর বা আর্কটিক মহাসাগর (Arctic Ocean)

আয়তনে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাসাগর ও সর্বাপেক্ষা কম গভীর একটি মহাসাগর। গভীরতম স্থানের নাম ইউরেশিয়ান বেসিন। উত্তর মহাসাগরের অধিকাংশ অঞ্চল একটি বরফের ‘টুপি’ দ্বারা আবৃত থাকে। আন্টর্কটিক মহাসাগর থেকে আসা জলের সবচেয়ে বড় অন্তঃপ্রবাহটি হল নরওয়েজিয়ান স্রোত। এই মহাসাগরের আয়তন ১,৪০,৫৬,০০০ বর্গ কিমি। রাশিয়ার সাথে আর্কটিকের বৃহত্তম সীমান্ত অবস্থিত।

পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-

www.youtube.com/crushschool

ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-

www.facebook.com/groups/mycrushschool