সুবিধামত ধারকত্ব পাবার জন্য দুটো বা দুইয়ের বেশি ধারককে যুক্ত করা হয়। একে ধারকের সজ্জা বা বিন্যাস (Grouping) বলে। এটি দুই প্রকারে করা যেতে পারে-
- শ্রেণী বা সিরিজ সমবায় (Grouping in Series)
- সমান্তরাল সমবায় (Grouping in Parallel)
তুল্য ধারকত্ব (Equivalent capacitance)
কোনো জায়গায় বা সিস্টেমে দুটো বা তার বেশি ধারকের যেকোনো একটা সমবায়ে সাজিয়ে রাখার পর যদি একটা মাত্র ধারক ব্যবহার করলে যদি ধারকের পাতে চার্জ এবং বিভব পার্থক্য অপরিবর্তিত থাকে, তবে ঐ ধারকের ধারকত্বকে সমবায়ের তুল্য ধারকত্ব বলে। আমরা এখানে ধারকের সমান্তরাল বিন্যাসের তুল্য ধারকত্ব নিয়ে আলোচনা করবো।
যখন দুটি বা তার বেশি ধারককে এমনভাবে যুক্ত করা হয় যাতে প্রত্যেক ধারকের প্রথম পাত এক বিন্দুতে এবং দ্বিতীয় পাত অন্য এক বিন্দুতে যুক্ত থাকে, তখন তাকে ধারকের সমান্তরাল বিন্যাস বলে ।
ধরা যাক, C1, C2 ও C3 ধারকত্ব যুক্ত তিনটি ধারকের প্রত্যেকের প্রথম পাত M বিন্দুতে এবং দ্বিতীয় পাত ভূ-সংযুক্ত অবস্থায় N বিন্দুতে যুক্ত করা। এই অবস্থায় M বিন্দুতে Q পরিমাণ ধনাত্নক চার্জ দিলে প্রত্যেক ধারকের পাত দুটির মধ্যে বিভব পার্থক্য সমান হবে এবং Q চার্জ ধারকত্ব অনুযায়ী ধারকগুলোতে ছড়িয়ে পড়বে।
এবার ধরা যাক, C1, C2 ও C3 ধারকত্বের ধারক তিনটিতে জমা থাকা চার্জের পরিমাণ যথাক্রমে Q1, Q2, ও Q3 এবং M ও N পাত দুটোর মধ্যে বিভব পার্থক্য = V.
তাহলে, Q1 = C1V, Q2 = C2V, Q3 = C3V
এবং Q = Q1 + Q2 + Q3
সুতরাং, Q = C1V + C2V + C3V
= (C1 + C2 + C3) V
এবার, সবগুলো সমান্তরাল ভাবে যুক্ত ধারকের পরিবর্তে Cp মানের ধারকত্ব যুক্ত একটি ধারককে নিলাম। এবার এটাকে M ও N বিন্দুতে যোগ করে M বিন্দুতে Q পরিমাণ ধনাত্নক চার্জ দিলাম। যদি এক্ষেত্রে M ও N বিন্দুর মধ্যে বিভব পার্থক্য V হয়, তাহলে-
Q = Cp V
= (C1 + C2 + C3) V
সুতরাং, Cp = C1 + C2 + C3
যেখানে, Cp হচ্ছে তুল্য ধারকত্ব।
সুতরাং বলা যায়, C1, C2, C3……Cn ধারকত্ব যুক্ত n সংখ্যক ধারক যদি সমান্তরালে যুক্ত থাকে তবে তাদের তুল্য ধারকত্ব Cp এর মান হবে-
Cp = C1 + C2 + C3 +……..+ Cn
অর্থাৎ সমান্তরালে যুক্ত থাকা অবস্থায় ধারকগুলোর ধারকত্বের মানের সমষ্টি তুল্য ধারকত্বের মানের সমান।
‘আল্লাহ তাদের (কাফিরদের) অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।’ (আল-কুরআন, সূরা : আল বাক্বারাহ্)
পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
Related posts:
- কিভাবে সমবায় রোধক বের করা হয় – How to find Parallel Resistance
- তড়িৎ ক্ষেত্রের প্রাবল্য (Electric Field Intensity)
- তড়িৎ ধারকত্ব (Electric Capacity)
- তড়িৎ প্রাবল্য ও তড়িৎ বিভবের মধ্যে সম্পর্ক (Relation between Electric Intensity and Electric Potential)
- তড়িৎ বিভব (Electric Potential)
- ধারক ও ধারকত্ব (Capacitor & Capacitance)
- ধারকের শ্রেণী বিন্যাস (Series Combination of Capacitor)
- পরাবৈদ্যুতিক ধ্রুবক বা আপেক্ষিক ভেদ্যতা (Dielectric Constant or Relative Permittivity)
- বয়েলের সূত্র ও চার্লসের সূত্রের সমন্বয় (Combination of Boyle’s Law and Charles’ Law)
- বিভব পার্থক্য (Potential Difference)
- বিভব পার্থক্য ও তড়িচ্চালক বলের পার্থক্য (Difference between Voltage & Electromotive Force)
- বিভিন্ন প্রকার ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া (Different types of Actions and Reactions)
- ব্যাটারির প্যারালাল কানেকশন – Parallel Connection of Battery
- সমবিভব তল (Equipotential Surface)
- সমান্তরাল পাত ধারক (Parallel Plate Condenser)