Pharmacodynamics
আমাদের শরীরে একটা Drug কি কি কাজ করে সেগুলো নিয়ে Pharmacodynamic শাখাতে আলোচনা করা হয়। অর্থাৎ এটির মানে-
What does Drug do to the Body?
আমরা যে কারনে মেডিসিন গ্রহণ করি এবং মেডিসিন গ্রহণ করার পর আমাদের শরীরে যা যা ঘটে সেগুলো হচ্ছে Pharmacodynamic এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়। আমাদের অসুখ হলে কিংবা শরীরে কোনো সমস্যা বা রোগ হলে মেডিসিন নেওয়া লাগে। কিন্তু এই মেডিসিন গ্রহণ করার পর দুটো ঘটনা ঘটতে পারে-
a) অসুখ দ্রুত ভালো হয়ে যেতে পারে কিংবা ধীরে ধীরে ভালো হয়ে যেতে পারে। এটিতে Desirable Effect বলে। কাজেই Desirable Effect হচ্ছে এমন কিছু ঘটনা যেগুলো মেডিসিন গ্রহণ করার পর আমরা আশা করে থাকি। যেমন- Diagnosis ঠিকঠাকভাবে হওয়া, Prevention বা মেডিসিনের প্রভাবে অসুখ ছড়ানোকে বাধা দেওয়া, Treatment বা অসুখ ভালো হওয়া শুরু করা এবং Improvement বা অসুখ দ্রুত দূর হয়ে যাওয়া ইত্যাদি Desirable effect এর মধ্যে পড়ে।
b) অসুখ ভালো না হয়ে শরীরের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া (যেমন মাথা ব্যাথা, অসুখ বেড়ে যাওয়া, খারাপ লাগা) পড়তে পারে। এটাকে Undesirable Effect বলে। Undesirable Effect মানে মেডিসিন গ্রহণ করার পরে আমরা যেসব কাজ কখনোই আশা করি না সেগুলো। এর মধ্যে কয়েকটা বিষয় হচ্ছে- Side effect, Adverse effect এবং Toxic effect।
অর্থাৎ Desirable effect এবং Undesirable effect এই দুটো ইফেক্ট নিয়ে Pharmacodynamic শাখাতে আলোচনা করা হয়।
যখন একটা Drug বা Antibiotic শরীরে প্রবেশ করে তখন সেটি শরীরে আক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়া কোষের Cell Wall এবং Cell Membrane কে নষ্ট করে ব্যাকটেরিয়া কোষের ভেতরে ঢুকে যায়। তারপর সেটি ব্যাকটেরিয়ার DNA নষ্ট করে ফেলে, ফলে ব্যাকটেরিয়া নতুন DNA তৈরি করতে পারে না, প্রোটিন তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া আর সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে না। এভাবে একটা drug বা antibiotic আমাদের শরীরকে অসুখের হাত থেকে রক্ষা করে। Drug এর এই কাজের ধরনকে Pharmacodynamic effect বলে।
Pharmacokinetics
আমাদের শরীর Drug এর উপস্থিতিতে কিভাবে সাড়া দেয় সেটা নিয়ে আলোচনা করা হয় Pharmacokinetics শাখায়। অর্থাৎ এটির মানে-
What does body do to the drug?
যখন আমাদের শরীরে Drug প্রবেশ করে তখন আমাদের শরীর সেই Drug এর ওপর কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যাতে সেই drug টি আমাদের অসুখটাকে সাড়াতে পারে। শরীরে drug প্রবেশের পর প্রথম কাজ হচ্ছে সেটাকে গ্রহণ করা বা Absorption করা। Drug কে গ্রহণ করার পর আমাদের শরীর সেটাকে Distribution বা বন্টন করে। শরীরের যেসব জায়গায় drug কাজ করবে সেসব জায়গায় শরীর সেই drug এর অংশ গুলোকে পাঠিয়ে দেয়। এরপর drug এর উপর বিপাকীয় কাজ (Metabolism) করে শরীর। এর মানে হচ্ছে drug এর ক্ষুদ্রতম অংশগুলো অনেক জটিল রাসায়নিক বস্তু দ্বারা তৈরি, এগুলোকে সহজে আমাদের শরীরের কোষ গ্রহণ করতে পারে না। তাই drug এর জটিল রাসায়নিক গঠন যুক্ত যৌগ গুলোকে সরল যৌগে পরিনত করে কোষের গ্রহণের উপযোগী করার নাম হচ্ছে Metabolism। এছাড়া কোনো কারণে drug টি বিষাক্ত বা toxic প্রকৃতির হলে সেটাকে আমাদের শরীর কম বিষাক্ত করে ফেলে metabolism উপায়ে। Metabolism এর পরের ধাপ হচ্ছে Elimination। Drug এর সব অংশ শরীরের জন্য কাজ করে না। Drug এর যেসব অংশ অপ্রয়োজনীয় সেগুলো যদি শরীরে অবস্থান করে তবে সেগুলো ক্ষতিকর কারণ হয়ে দাড়াবে। তাই শরীর elimination পদ্ধতিতে শরীর থেকে drug এর অপ্রয়োজনীয় অংশকে শরীরের বাইরে বের করে দেয়। আমাদের লালা, দুধ, মুত্র, পায়খানা, গ্যাস ইত্যাদির মাধ্যমে শরীর থেকে Drug এর অপ্রয়োজনীয় অংশ বের হয়ে যায়।
যখন আমরা একটা ট্যাবলেট সেবন করি তখন সেটা পাকস্থলীতে গিয়ে অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরাতে পরিণত হয়। তারপর সেই টুকরা গুলো small intestine (ক্ষুদ্রান্ত) এবং large intestine (বৃহদান্ত) অংশে গিয়ে রক্তের মধ্যে শোষিত হয়। এটাকে absorption বলে। Drug এর অপ্রয়োজনীয় অংশ তখন আর শোষিত না হয়ে আমাদের মল-মুত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বাইরে বেরিয়ে যায়। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি হচ্ছে Pharmacokinetics।
নিচে একটা ছবির মাধ্যমে সমগ্র Pharmacokinetics পদ্ধতিটি দেখানো হলো-
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
www.facebook.com/groups/mycrushschool
অথিতি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-
write@thecrushschool.com