Protein বা আমিষ হচ্ছে জীবদেহের অন্যতম Macro molecules যেটা জীবদেহের কোষে বিভিন্ন কাজ করে থাকে। কয়েক ধরনের প্রোটিন আছে যারা জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এদেরকে Biological catalyst বলে।
প্রোটিন আমাদের শরীরে বিভিন্ন পদার্থকে Transport করার ফাংশন হিসেবে কাজ করে। যেমন হিমোগ্লোবিন হচ্ছে এমন এক ধরনের প্রোটিন যেটি আমাদের ফুসফুস থেকে রক্তে এবং টিস্যুতে অক্সিজেনকে পরিবহন করে। এছাড়া আমাদের Cell membrane বা প্লাজমামেমব্রেনে যে প্রোটিন থাকে সেটি এক ধরনের Transport protein. এসব প্রোটিনের মাধ্যমে কোষের বাইরে থেকে ভেতরে এবং ভেতর থেকে বাহিরে বিভিন্ন ধরনের ion এবং molecule যাতায়াত করতে পারে।
প্রোটিনের আরো একটি ফাংশন হচ্ছে এটি আমাদের কোষের গঠন ঠিক রাখতে পারে। প্রোটিনের মাধ্যমে কোষে বিভিন্ন কোষীয় কঙ্কাল বা cytoskeleton তৈরি হয়। এসব কোষীয় কঙ্কাল আমাদের কোষের নির্দিষ্ট আকৃতি প্রদান করে।
বিভিন্ন ধরনের জীবাণু থেকে রক্ষা করার জন্য আমাদের শরীরের প্রোটিনগুলো কাজ করে। যেমন আমাদের শরীরের এন্টিজেন এবং এন্টিবডি প্রোটিন দিয়ে তৈরি । অর্থাৎ প্রোটিন আমাদের শরীরে প্রতিরক্ষা কাজে ব্যবহৃত হয়।
প্রোটিনের আরো একটি ফাংশন হচ্ছে এটি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষা করে। কোষের ভেতরে এবং একটা কোষ থেকে আরেকটা কোষে বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে পেপটাইড হরমোন ব্যবহার হয়ে থাকে। যেখানে পেপটাইড হরমোন হচ্ছে এক ধরনের প্রোটিন। তাই এই কয়টি বিষয় হচ্ছে প্রোটিনের মূল ফাংশন।
প্রোটিনের গঠন
প্রোটিন অনেকগুলো unit দিয়ে তৈরি যাদেরকে Amino Acid (অ্যামিনো অ্যাসিড) বলে। আমাদের শরীরে 20 ধরনের অ্যামিনো এসিড রয়েছে, যেগুলো দিয়ে আমাদের শরীরের প্রোটিনগুলো তৈরি। 20 টি Amino acid থাকার মানে হচ্ছে এসব amino acid ব্যবহার করে আমাদের শরীরের প্রতিটা প্রোটিন বিভিন্ন ধরনের কম্বিনেশন করে তৈরি করতে পারে। এজন্য আমাদের শরীরে এত ভ্যারাইটি দেখা যায়।
একটা প্রোটিন অণুতে প্রতিটা অ্যামিনো এসিড একে অপরের সাথে পেপটাইড নামক বন্ধন ধারা যুক্ত থাকে ধরা যাক একটা প্রোটিন এর মধ্যে 10 টি অ্যামিনো এসিড পেপটাইড বন্ধন দ্বারা যুক্ত আছে যেহেতু আমাদের শরীরে মোট অ্যামিনো এসিডের সংখ্যা হচ্ছে বৃষ্টি তাই এই 10 টি এম এস এস কে বিশটি অ্যামিনো এসিড দ্বারা টোটাল কম্বিনেশন করা যাবে – 2010 = 1.024 * 1013 টি উপায়ে। আবার এই প্রোটিনে যদি আরো অনেকগুলো amino acid থাকতো তবে তাদের প্রতিটার কম্বিনেশন আরো বেশি হতো এবং আরো নতুন নতুন প্রোটিন তৈরি হতো। বাস্তবে আমাদের শরীরে এমনটাই ঘটে, বিভিন্ন ধরনের প্রচুর পরিমান প্রোটিন তৈরি হয় এই সিস্টেমে।
Amino acid এর এই বিশাল সিকুয়েন্স নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন তৈরি হয়। তবে amino acid এর এই সিকুয়েন্স প্রোটিনকে ত্রিমাত্রিক গঠন বা three dimensional structure তৈরি করতে সাহায্য করে।
Amino Acid এর Functional Group
প্রতিটা amino acid একে অপরের থেকে আলাদা থাকে। এদের functional group আলাদা আলাদা থাকে বলে এদেরকে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। Amino acid এর গঠনে একটা কার্বন, amino group (NH3), একটা Hydrogen থাকে। তবে এদের একেকটার functional group ভিন্ন থাকে। যেমন Glycine নামক amino acid এর মধ্যে একটা H এর functional group থাকে। আবার Cysteine নামক amino acid এর H-S-CH2 group যুক্ত থাকে।
এই দুটো amino acid আবার একই ধরনের কাজ করে না, ভিন্ন ধরনের কাজ করে। তাই বলা যায় ভিন্ন ভিন্ন functional group যুক্ত amino acid গুলোর কাজ ভিন্ন ভিন্ন হয়। এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন amino acid গুলো আমাদের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন organic reaction গুলো ঘটিয়ে থাকে।
প্রোটিনের ধর্ম
বিভিন্ন প্রোটিনের বিভিন্ন ধর্ম থাকে। যেমন এক ধরনের প্রোটিন হচ্ছে খুব শক্ত, আরেক ধরনের প্রোটিন অতটা শক্ত না। শক্ত প্রোটিন গুলো cell skeleton বা কোষের কঙ্কাল তৈরি করে।
একই ধরনের দুটো প্রোটিন কখনোই একটা আরেকটার উপর react করেনা। কিন্তু একটা প্রোটিন অন্য একটা প্রোটিনের সাথে কিংবা অন্য কোনো molecule এর সাথে react করতে পারে।
কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি আমরা transport protein গুলোকে আমাদের cell membrane এর মধ্যে পাওয়া যায়। আবার আমাদের cell membrane এর মধ্যে phospholipid থাকে যেটা লিপিড ও প্রোটিন দিয়ে তৈরি। Transport protein গুলো এই phospholipid অণুগুলোর সাথে interaction করে যাতে কোষের মধ্যে বিভিন্ন আয়ন বা molecule সহজে যাতায়াত করতে পারে।
প্রোটিনের উৎস
প্রোটিনকে কোড ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। আমাদের কোষগুলো DNA কে ব্যবহার করে RNA তৈরি করে। এই RNA পরবর্তীতে ribosome এর সাথে যুক্ত হয় এবং এই ribosome প্রোটিন তৈরি করে। অর্থাৎ RNA এর কোড ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রোটিন তৈরি করে ribosome.
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু'জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচাই করে থাক এবং আত্নীয় স্বজনদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন।
(সুরা নিসা : ১)
পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
www.facebook.com/groups/mycrushschool
Related posts:
- অ্যামিনো এসিড (Amino Acid)
- এনজাইমের বৈশিষ্ট্য – Properties of Enzymes
- এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (Endroplasmic Reticulum – ER)
- জীব কোষের উপাদান : গলজি বডি
- জীব কোষের উপাদান : রাইবোসোম
- ডিএনএ কিভাবে প্রাণির বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে? (How does DNA control the characteristics of Animals?)
- ডিএনএ ট্রান্সলেশন (DNA Translation)
- নিউক্লিক এসিড (Nucleic Acid)
- প্রোটিনের গঠন (Structure of Protein)
- প্রোটিনের টারশিয়ারি গঠন (Tertiary Structure of Protein)
- প্রোটিনের প্রাইমারি গঠন (Primary Structure of Protein)
- প্রোটিনের সেকেন্ডারী গঠন (Secondary Structure of Protein)
- ভাইরাসের গঠন (The Structure of the Virus)
- শর্করা – Carbohydrate
- হিমোগ্লোবিন ও মায়োগ্লোবিনের হিম গ্রুপ (Heme Group of Hemoglobin & Myoglobin)