ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি

অন্য সকল জীবের মত ভাইরাসেও বিশেষ উপায়ে সংখ্যাবৃদ্ধি হয়ে থাকে এবং প্রতিটি নতুন ভাইরাস দেখতে হুবহু একই রকম হয়। একে সংখ্যাবৃদ্ধি বলে। আমরা এখন T2 ব্যাকটেরিওফায এর সংখ্যাবৃদ্ধি প্রক্রিয়া নিয়ে জানবো।

 

T2 ফায ভাইরাসের সংখ্যাবৃদ্ধি প্রক্রিয়া

T2 ফায এর সংখ্যাবৃদ্ধি প্রক্রিয়াকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়-

সংক্রমণ পর্যায় (Infection Phase) : ব্যাকটেরিয়া কোষের সংস্পর্শে আসা হতে ভাইরাস DNA ব্যাকটেরিয়ামের কোষের ভেতরে প্রবেশ পর্যন্ত এ পর্যায়ের বিস্তৃতি। স্পর্শক তন্তুর সাহায্যে এই ভাইরাস E. coli নামক ব্যাকটেরিয়ামের গায়ে লেগে যায়। তখন লেগে থাকা স্থানের কোষপ্রাচীর ছিদ্র হয়ে যায় এবং ভাইরাস শুধুমাত্র তার DNA ব্যাকটেরিয়াম কোষে ঢুকিয়ে দেয়।

সংখ্যাবৃদ্ধি পর্যায় (Multiplication Phase) : ভাইরাস DNA ও প্রোটিন আবরণ গঠন এবং নতুন ভাইরাস গঠন পর্যন্ত এ পর্যায়ের বিস্তৃতি। অতি অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাস DNA ব্যাকটেরিয়ামের এনজাইমকে এমনভাবে সংগঠিত করে যে তখন সেই কোষের (ব্যাকটেরিয়ামের) মধ্যে বেশি বেশি শুধু ভাইরাসের (বা ফায়-এর) DNA এবং সেই সাথে প্রোটিন আবরণ তৈরি হতে থাকে। শেষ পর্যায়ে DNA ও প্রোটিন আবরণ মিলে নতুন ভাইরাস সৃষ্টি করে।

বিগলন পর্যায় (Lysis phase) : ব্যাকটেরিয়ামের কোষপ্রাচীর ছিন্ন করে নতুন ভাইরাসগুলোর বের হয়ে আসাকে বিগলন পর্যায় বলে। অর্থাৎ সবশেষে ব্যাকটেরিয়ামের কোষ ছিন্ন করে নতুন ভাইরাসগুলো বের হয়ে আসে। এভাবে মাত্র ৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে ৩০০ নতুন ভাইরাস সৃষ্টি হতে পারে।

 

পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-

www.youtube.com/crushschool

ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-

www.facebook.com/groups/mycrushschool