Route বলতে বোঝায় এমন একটা পথকে যে পথ ধরে একটা মেডিসিন (Drug) শরীরে প্রবেশের পর শরীরের নির্দিষ্ট অংশে গিয়ে কাজ করে। ড্রাগ যখন শরীরে কাজ করে তবে সেই কাজকে Pharmacological Action বলে। তাহলে শরীরে মেডিসিন প্রবেশের পর সেটি কোন কোন রাস্তা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে যাবে, সেই রাস্তার সাথে মেডিসিনের সম্পর্ক কেমন হবে সেটাকে Route of Drug Administration বলে।
এখন আমরা জানবো একটা ড্রাগ কি কি বিষয়ের উপর তার শরীরের ভেতরে চলাচলের পথকে নির্বাচন করে সেটি নিয়ে। এই বিষয়গুলো হচ্ছে-
a) Physical & Chemical Properties of Drug : একটা ড্রাগ কঠিন, তরল নাকি গ্যাসীয় হবে সেটার উপর সেই ড্রাগ শরীরে কিভাবে কাজ করে তা নির্ধারণ করে। যেমন Solid ড্রাগ গুলো শরীরে প্রবেশের পর সেটি ভেঙ্গে ছোট ছোট টুকরাতে পরিনত হয় (Disintegration ঘটে) এবং এবং সবশেষে শরীরে শোষিত হয় (Dissolve ঘটে)। আবার Liquid ড্রাগ শরীরে প্রবেশের পর কেবলমাত্র শোষিত হয় বা Dissolve হয়। ওদিকে গ্যাসীয় ড্রাগ গুলো শরীরে নাক বা মুখ দিয়ে প্রবেশ করে এবং সরাসরি এরা ফুসফুসে কাজ করে। এছাড়া ড্রাগ এর Route নির্ভর করে সেটির Solubility এবং pH এর উপরেও।
b) Site of Desirable Action : এর মানে হচ্ছে একটা ড্রাগ শরীরের ঠিক কোন জায়গায় কাজ করবে সেটা নির্বাচন করা। যদি আমাদের গালে ব্রণ উঠে তবে আমরা এমন ড্রাগ নিবো যা শুধুমাত্র গালের ওই ব্রণের অংশটাতে কাজ করবে। আবার আমরা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে এমন ড্রাগ নিবো যেটা পুরো শরীর জুড়ে কাজ করবে। কাজেই Route of Drug Administration এক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা পালন করে এবং ড্রাগের পথ ঠিক করে দেয়, যাতে সে আমাদের শরীরের নির্দিষ্ট অংশে গিয়ে কাজ করতে পারে।
c) Rate & Extent of Absorption of Drug : এর মানে হচ্ছে যদি একটা ড্রাগ শরীরে যে পথে প্রবেশ করানোর পর সে ১০০% কাজ করতে না পারে, তবে তাকে অন্যপথে শরীরে প্রবেশ করাতে হবে যাতে সেটা যেকোনো জায়গায় গিয়ে পুরোপুরি Action তৈরি করতে পারে।
d) Metabolism of Drug : Metabolism বা বিপাক মানে হচ্ছে এটি ড্রাগকে একটা format থেকে আরেকটা format এ পরিবর্তন করে। যেমন – Inactive to Active, Toxic to less toxic ইত্যাদিতে পরিবর্তন। ড্রাগের metabolism দুই ধরনের- First pass, By pass। First pass হচ্ছে গতানুগতিক পথ দিয়ে ড্রাগের পথ চলা, যেমন আমাদের মুখ দিয়ে কোনো ট্যাবলেট সেবন করলে সেটা অন্ননালী দিয়ে পাকস্থলীতে যাবে, সেখান থেকে অন্ত্রে যাবে, তারপর যকৃত হয়ে রক্তে যাবে। এক্ষেত্রে ড্রাগের কার্যক্ষমতা কমে যাবে। কিন্তু সরাসরি সে ড্রাগকে যদি রক্তে প্রয়োগ করা হয় তবে সেটি পুরোপুরি কাজ করবে। এই পদ্ধতিকে By pass বলে।
e) Rapidity of Response : এর মানে হচ্ছে ড্রাগ শরীরে প্রবেশের পর কত দ্রুত কাজ করবে। এক্ষেত্রেও Route of Drug Administration ভূমিকা রাখে।
f) Condition of Patient : রোগী যদি শিশু হয় তবে তাকে সিরাপ বা Liquid ড্রাগ দিতে হয়, রোগী যদি কোমাতে থাকে তবে তাকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ড্রাগ শরীরে দিতে হয়, রোগী যদি স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে তবে তাকে ট্যাবলেট হিসেবে ড্রাগ খাওয়াতে হয়। এসব বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে Drug এর Route নির্বাচন করা হয়।
পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-