সরল দোলক

একটি ভারী আয়তনহীন বস্তুকণাকে ওজনহীন, নমনীয় ও অপ্রসারণশীল সূতা দিয়ে ঝুলিয়ে দিলে এটি যদি ঘর্ষণ এড়িয়ে স্বাধীনভাবে দুলতে পারে তবে তাকে সরল দোলক বলে।

কিন্তু বাস্তবে এ রকম কোনো সরল দোলক পাওয়া সম্ভব নয়। গাণিতিক সুবিধার জন্য এরূপ প্ৰমাণ (standard) দোলক কল্পনা করা হয়। একটি হালকা সুতার সাহায্যে কোনো দৃঢ় অবলম্বন থেকে একটি ভারী বস্তু ঝুলিয়ে দিলে এটি স্বাভাবিক অবস্থায় সোজা হয়ে ঝুলে থাকবে। সূতা সমেত বস্তুটিকে সাধারণ দোলক বা সরল দোলক বলা হয়।

বব : যে ভারী বস্তুটিকে সুতার সাহায্যে ঝুলিয়ে সরল দোলক তৈরি করা হয় তাকে বব বা পিণ্ড বলে।

ঝুলন বিন্দু : যে বিন্দু থেকে সুতার সাহায্যে ববকে ঝুলানো হয় তাকে ঝুলন বিন্দু বলে।

কার্যকরী দৈর্ঘ্য : ঝুলন বিন্দু থেকে ববের ভার কেন্দ্র পর্যন্ত দূরত্বকে সরল দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য বা দোলক দৈর্ঘ্য বলে।

ববটি সুষম গোলক হলে ঝুলন বিন্দু থেকে ববের পৃষ্ঠ পর্যন্ত দূরত্বের (l) সাথে ববের ব্যাসার্ধ (r) যোগ করলে কার্যকরী দৈর্ঘ্য পাওয়া যায়।

L = l + r

বিস্তার : একটি সরল দোলকের ববের সাম্যাবস্থান থেকে যে কোনো একদিকের সর্বোচ্চ দূরত্বকে বিস্তার বলে। সর্বোচ্চ রৈখিক দূরত্ব দ্বারা বিস্তারকে প্রকাশ করলে তাকে রৈখিক বিস্তার বলে। সর্বোচ্চ কৌণিক দূরত্ব দ্বারা বিস্তারকে প্রকাশ করলে তাকে কৌণিক বিস্তার বলে। সাধারণত কৌণিক বিস্তারকেই সরল দোলকের বিস্তার ধরা হয়।

পূর্ণ দোলন : সরল দোলকের বব এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে গিয়ে আবার সেই প্রান্তে ফিরে এলে তাকে একটি পূর্ণ দোলন বলে। ছবিতে বব A থেকে B তে গিয়ে আবার A-তে ফিরে আসলে একটি পূর্ণ দোলন হয়। 

দোলন কাল : একটি পূর্ণ দোলনের জন্য সরল দোলকের যে সময় লাগে তাকে দোলন কাল বলে। একে T দিয়ে প্রকাশ করা হয়

কম্পাঙ্ক : এক সেকেন্ডে একটি সরল দোলক যতগুলো পূর্ণ দোলন সম্পন্ন করে তাকে কম্পাঙ্ক বলে। কোনো সরল দোলক t সময়ে N টি পূর্ণ দোলন সম্পন্ন করলে তার কম্পাঙ্ক-

f = N/t

পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-

www.youtube.com/crushschool

ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-

www.facebook.com/groups/mycrushschool