ড্রাগ কি সেটা নিয়ে জানার ক্ষেত্রে জানতে হবে আমরা যেসব Drug বা Medicine (ঔষধ) সেবন করি সেগুলো বিভিন্ন উৎস থেকে তৈরি করা হয়। প্রধানত ৬টা উৎস থেকে Drug বানানো হয়।
ড্রাগ কি ও এর উৎস
a) Plant Source (উদ্ভিদ) : একটা উদ্ভিদে বিভিন্ন অংশ থাকে যেমন মূল, পাতা, ফুল, ফল, বীজ ইত্যাদি। এই প্রতিটা অংশ থেকে Drug তৈরি করা হয়। তুলসী, নিম, থানকুনি, টোবাকো ইত্যাদি উদ্ভিদের পাতা ব্যবহার করে Drug বানানো হয়। গোলাপ ফুল ব্যবহার করা হয় drug এর গন্ধ তৈরি করার জন্য। এছাড়া Opium নামক ফল দিয়ে ব্যথানাশক ঔষধ তৈরি করা হয়। তাহলে ড্রাগ কি ও এর একটা উৎস নিয়ে জানা গেলো।
b) Animal Source (প্রাণি) : প্রাণিদেহের অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন সংগ্রহ করা হয়, ভেড়ার থাইরয়েড গ্রন্থি drug তৈরির আরো একটা উৎস, রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়, পাকস্থলী থেকে পেপসিন এনজাইম সংগ্রহ করা হয় যেটা দিয়ে হজমকারী মেডিসিন তৈরি করা হয়, শরীরের হাড় থেকে ক্যালসিয়াম সংগ্রহ করা হয় যেটা দিয়ে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট তৈরি করা হয়।
c) Mineral Source (খনিজ উপাদান) : বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান থেকে গুরুত্বপূর্ণ রোগের ঔষধ বা Drug বানানো হয়। যেমন- Iron থেকে Anemia রোগের ঔষধ, Iodine ও বোরাক্স থেকে Antiseptic, Gold থেকে Arthritis রোগের ঔষধ, Silver থেকে Immunity এর ঔষধ, Selenium থেকে খুশকির ঔষধ, Chlorine থেকে পানি বিশুদ্ধকরণ Drug তৈরি করা হয়।
ড্রাগের আরো কিছু উৎস
d) Microbial Source (অণুজীব) : বিভিন্ন ধরনের অণুজীবদের যেমম- Penicillin, Lactobacillus, streptococcus ইত্যাদি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের Antibiotic তৈরি করা হয়।
e) Synthetic Source : যদি বিভিন্ন source গুলোকে কাজে লাগিয়ে সেগুলোতে রাসায়নিক কোনো বস্তু যোগ করে নতুন Source তৈরি করা হয় তবে সেটাকে Synthetic source বলে। যেমন- Emetin।
f) Biotech Source : যেকোনো Drug Source এর মধ্যে বিভিন্ন বায়োটেকনোলজি (যেমন Recombinant DNA Technology) প্রয়োগ করে সেটিকে যদি আরো উন্নত করা যায় তবে সেই source টি হচ্ছে Biotech Source। এক্ষেত্রে কোনো Drug Source যদি অনুন্নত থাকে, তবে বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে তার জেনেটিক কোড পরিবর্তন করে সেই source টিকে আরো উন্নত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, অগ্ন্যাশয়ে উৎপন্ন ইনসুলিন তেমন উন্নত ধরনের হয় না, তাই একে Recombinant DNA প্রযুক্তি প্রয়োগ করে উন্নত করা হয় এবং ডায়বেটিকস রোগীর শরীরে সেটা Drug হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। তাহলে এই আলোচনা থেকে ড্রাগ কি ও ড্রাগের উৎস নিয়ে জানা গেলো।
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
www.facebook.com/groups/mycrushschool
অথিতি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-
write@thecrushschool.com