আপেক্ষিক রোধ কাকে বলে

আপেক্ষিক রোধ কাকে বলে সেটা জানার জন্য আমাদের জানতে হবে কোনো পরিবাহীর Resistance (R) এবং পরিবাহীর দৈর্ঘ্য (L) একে অপরের সমানুপাতিক-

     R ∝ L

এবং পরিবাহীর Resistance এবং পরিবাহীর ক্ষেত্রফল A একে অপরের ব্যস্তানুপাতিক-

     R ∝ (1/A)           

যদি দুটো সম্পর্ককে এক করি তবে পাবো-

     R ∝ L/A

or, R = ρ (L/A) ………. (i)

এখানে ρ হচ্ছে একটি সমানুপাতিক ধ্রুবক যাকে কোনো মেটারিয়ালের Specific Resistivity বা আপেক্ষিক রোধ বলে। একে শুধু Resistivity-ও বলা যায়।

আপেক্ষিক রোধ কাকে বলে

যখন L = 1m, A = 1m² হয় তখন ρ = R হবে। অর্থাৎ আপেক্ষিক রোধ কাকে বলে এর উত্তর হচ্ছে-

1m length এবং 1m² cross sectional area যুক্ত কোনো নির্দিষ্ট মেটারিয়ালের পরিবাহীর resistance কে Specific resistivity বলে।

আপেক্ষিক রোধ কাকে বলে এর দারুণ কনসেপ্ট

এবার নিচে একটা মেটারিয়ালের ছবি দেখো- 

ঘনক

এই মেটারিয়ালটির আয়তন 1 m3. যদি একে অনেকগুলো ভাগ করে conductor বানানো হয় তবে প্রতিটা conductor এর দৈর্ঘ্য হবে 1m এবং প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল হবে 1 m²এই অবস্থায় ভাগ করা প্রতিটা conductor গুলোর মধ্যে যে পরিমান resistance থাকবে সেটাই হচ্ছে এই মেটারিয়ালের specific resistivity.

ঘনবস্তু

(i) no equation থেকে পাই-

   ρ = RA / L

এবং এর একক হচ্ছে-

   ρ = (Ω x m²) / m

      = Ωm

এবার আমরা বিভিন্ন মেটারিয়ালের specific resistivity এর মান দেখবো-

  Copper – 1.7 x 10-8 Ωm

   Iron – 9.68 x 10-8 Ωm

   Pure Silicon – 2.5 x 103 Ωm

   Glass – 10^10 to 1014 Ωm

খেয়াল করো, গ্লাস এক ধরনের insulator (অপরিবাহী), তাই গ্লাসের specific resistivity অনেক বেশি। মনে রাখতে হবে প্রতিটা পদার্থের আপেক্ষিক রোধ আলাদা আলাদা মানের হয়, কখনোই দুটো আলাদা মেটারিয়ালের আপেক্ষিক রোধ একই মানের হয় না। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম আপেক্ষিক রোধ কাকে বলে।


ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-

www.facebook.com/groups/mycrushschool

অতিথি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-

write@thecrushschool.com