দ্রুতি (Speed)
সময়ের সাথে কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তের হারকে দ্রুতি বলে। অর্থাৎ-
দ্রুতি = দূরত্ব / সময়
কোনো বস্তু যদি t সময়ে d দূরত্ব অতিক্রম করে, তাহলে তার দ্রুতি হবে-
v = d / t
দ্রুতি দ্বারা অবস্থানের পরিবর্তনের হার কোন দিকে ঘটেছে তা জানা যায় না, ফলে দ্রুতির কোনো দিক নেই। সুতরাং দ্রুতি একটি স্কেলার রাশি।
কোনো বস্তুর গতিকালে যদি কখনও দ্রুতির মানের কোনো পরিবর্তন না হয় অর্থাৎ বস্তুটি যদি সর্বদা সমান সময়ে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে তাহলে ঐ বস্তুর দ্রুতিকে সুষম দ্রুতি বলে। আর যদি সমান সময়ে বস্তু সমান দূরত্ব অতিক্রম না করে তাহলে সেই দ্রুতিকে অসম দ্রুতি বলে। বস্তু যদি সুষম দ্রুতিতে না চলে তাহলে তার অতিক্রান্ত মোট দূরত্বকে সময় দিয়ে ভাগ করলে গড় দ্রুতি পাওয়া যায়। সুতরাং-
গড় দ্রুতি = মোট দূরত্ব / সময়
কোনো মুহূর্তের তাৎক্ষণিক দ্রুতি পেতে হলে ঐ মুহূর্তে খুব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সময় ব্যবধানে বস্তুর অতিক্রান্ত দূরত্ব জেনে তাকে সময় ব্যবধান দিয়ে ভাগ করতে হবে। খুব ক্ষুদ্র সময় ব্যবধান ∇t তে যদি বস্তুর দূরত্বের পরিবর্তন ∇d হয় তাহলে তাৎক্ষণিক দ্রুতি-
v = Δd / Δt
∇ (ডেল্টা) প্রতীক চিহ্নটি Δ এর পরে স্থাপিত রাশিটির পরিবর্তন নির্দেশ করে। যেমন Δd (পড়তে হয় “ডেল্টা d”) দ্বারা দূরত্বের পরিবর্তন বুঝায় এবং Δt (পড়তে হয় “ডেল্টা t”) দ্বারা সময়ের পরিবর্তন নির্দেশ করে। Δd বা Δt কিন্তু Δ এবং d কিংবা Δ এবং t এর গুণফল নয়, এগুলো এক একটি প্রতীক।
বেগ (Velocity)

দ্রুতি ও বেগের পার্থক্য
পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-

Abdul Mukit Nipun
ex Notre Damian, BUET ME’18. Like to keep connected with the rest of world and believe in humanity.
Related posts:
- অভিকর্ষজ ত্বরণ (Gravitational Acceleration)
- একমুখী ও উভমুখী বিক্রিয়ার পার্থক্য
- গতির সমীকরণ
- গ্যালিলিওর পড়ন্ত বস্তুর সূত্র
- তাপমাত্রার বিভিন্ন স্কেলের মধ্যে সম্পর্ক
- ত্বরণ কাকে বলে
- নিউটনের সূত্র
- বেগ ও ত্বরণের মধ্যে পার্থক্য
- ব্যাপন ও নিঃসরণ এর পার্থক্য
- ভর ও ওজন (Mass & Weight)
- ভর ও ওজনের পার্থক্য
- ভরবেগ কাকে বলে
- ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্র
- মোটর ও জেনারেটরের মধ্যে পার্থক্য
- স্কেলার ও ভেক্টর রাশি