মানুষ পরষ্পরের সাথে ভাব বিনিময় এবং তথ্য আদান প্রদানের জন্য ভাষা ব্যবহার করে থাকে। ভাষা তাই ভাব বিনিময়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তেমনি কম্পিউটারের কাজ সম্পাদন করার অন্যতম মাধ্যন হলো প্রোগ্রামিং। তাই প্রোগ্রামিং কম্পিউটার এর ভাষা হিসেবে পরিচিত। আবার প্রোগ্রামিং মেশিনের ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
তবে প্রোগ্রামিং ভাষার কতগুলো স্তর রয়েছে। প্রোগ্রামিং ভাষার যাত্রা শুরু হয় সেই ১৯৪৫ সাল থেকে। সেই যাত্রার সাথে রয়েছে প্রোগ্রামিং এর কতগুলো স্তর। প্রোগ্রামিং ভাষার কয়েকটি বা শ্রেণি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
১. প্রথম স্তরের ভাষা
প্রথম প্রজন্মের ভাষা আবিষ্কার হয় ১৯৪৫ সালে। প্রথম প্রজন্মের ভাষার অপর নাম মেশিন ভাষা। মেশিন ভাষা হলো প্রোগ্রামিং ভাষার সর্বনিম্ন স্তর। প্রথম প্রজন্মের ভাষা কম্পিউটারের মৌলিক ভাষা হিসেবে সুপরিচিত ভাষা।
সুবিধা-
- অন্যান্য ভাষা হতে মেশিন ভাষায় কাজ করে খুব দ্রুত গতিতে।
- মেশিন ভাষাকে মেমরি আড্রেসের সাথে যুক্ত করা খুবই সহজ।
- এই ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামে খুবই কম লজিক এবং মেমরি প্রদান করা হয়।
অসুবিধা-
- মেশিন ভাষায় প্রোগ্রাম লিখার জন্য প্রয়োজন হয় দক্ষ প্রোগ্রামারের।
- এই প্রোগ্রামকে ডিবাগিং করা খুবই কষ্টসাধ্য।
- এই ভাষায় প্রোগ্রাম তৈরি করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
২. ২য় প্রজন্মের ভাষা
২য় প্রজন্মের ভাষা আবিষ্কৃত হয় ১৯৫০ সালে। এই প্রজন্মের ভাষা এসেম্বলি ভাষা নামে পরিচিত। এই প্রজন্মের ভাষাকে সাংকেতিক ভাষা হিসেবে সুপরিচিত।
সুবিধা-
- এই ভাষায় দক্ষ প্রোগ্রামার রচনা করা যায়।
- এই প্রোগ্রামে ভুলের পরিমাণ খুব সহজে নির্ণয় করা যায়।
- এই ভাষা মেশিনের উপর নির্ভরশীল।
অসুবিধা-
- মেশিনের অভ্যন্তরীণ সংগঠন ছাড়া এই প্রোগ্রাম রচনা করা খুবই অসম্ভব।
- এই ভাষায় প্রোগ্রাম রচনা করা কষ্টসাধ্য।
৩. তৃতীয় প্রজন্মের ভাষা
তৃতীয় প্রজন্মের ভাষা আবিষ্কৃত হয় ১৯৫০ সালে। এটিকে উচ্চতর বা হাই লেভেল ভাষাও বলা হয়।এই ভাষায় ইংরেজি ভাষার সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
সুবিধা-
- এই ভাষা শেখা খুবই সহজ।
- এই ভাষায় খুব তাড়াতাড়ি প্রোগ্রাম লিখা যায়।
অসুবিধা-
- এই ভাষা বোঝা কম্পিউটারের পক্ষে খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
- এই প্রোগ্রাম রান করতে অধিক সময়ের প্রয়োজন হয়।
- এই ভাষা কম অনমনীয়।
৪. চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা
১৯৭০ সালে চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা আবিষ্কৃত হয়। এই ভাষা অতি উচ্চতর ভাষা হিসেবে সুপরিচিত। এই ভাষার সাহায্য এপ্লিকেশন রচনা করা যায়। চতুর্থ প্রজন্মের ভাষার ব্যবহার বহুবিধ। SQL,RPG 111, FOCUS ইত্যাদি চতুর্থ প্রজন্মের ভাষার উদাহরণ।
৫. পঞ্চম প্রজন্মের ভাষা
পঞ্চম প্রজন্মের ভাষা আবিষ্কৃত হয় ১৯৮০ সালে। এই ভাষা ন্যাচারাল ভাষা হিসেবে সুপরিচিত। এই ভাষা অনেকটা ইংরেজি ভাষার মতো।এটি কৃএিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের ক্ষেত্র।
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
www.facebook.com/groups/mycrushschool
অথিতি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-
write@thecrushschool.com

Maria Hasin Mim
I am Maria Hasin Mim. I am studying at Daffodil Institute of IT where I am studying at BSc in CSE (running). I love to write. I live in dhaka.
Related posts:
- অনুবাদক প্রোগ্রাম
- উদ্ভিদের নামকরণ
- জাভা প্রোগ্রামিং
- জীব কোষের উপাদান : নিউক্লিয়াস
- জৈব যৌগ কাকে বলে
- প্রয়োগ ও অপপ্রয়োগ
- বায়ুমণ্ডলীয় স্তর
- বায়ুমন্ডলের স্তর
- বাংলা ব্যাকরণ কাকে বলে
- বাংলা লিপি
- মহাশূন্য যাত্রার ইতিহাস
- মিউটেশন কি
- মৌলিক বল কাকে বলে
- সি প্রোগ্রামের কীওয়ার্ড, চলক এবং ধ্রুবক
- সি প্রোগ্রামের ডেটা টাইপ