ভাইরাসের প্রকারভেদ

আকৃতি অনুযায়ী ভাইরাসকে নিম্নলিখিত বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়-

  • দন্ডাকার (Rod-shaped) : এদের আকার অনেকটা দন্ডের মত। উদাহরণ- টোবাকো মোজাইক ভাইরাস (TMV), আলফালফা মোজাইক ভাইরাস, মাম্পস ভাইরাস।
  • গোলাকার (Spherical) : এদের আকার অনেকটা গোলাকার, বর্তলাকার ও বহুভুজাকার। উদাহরণ- পোলিও ভাইরাস, TIV, HIV, ডেঙ্গু ভাইরাস।
  • ঘনক্ষেত্রাকার (Cubical) : এসব ভাইরাস দেখতে অনেকটা পাউয়ুটির মত। যেমন- হার্পিস, ভ্যাকসিনিয়া ভাইরাস।
  • ব্যাঙ্গাচি আকার (Tadpole shaped) : এরা মাথা ও লেজ অংশে বিভক্ত। উদাহরণ- T2, T4, T6 ইত্যাদি ভাইরাস।
  • ডিম্বাকার (Oval shaped) : এরা অনেকটা ডিমের মত আকৃতির। উদাহরণ- ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।

ভাইরাস দেহের ‘কোর’ গঠনকারী নিউক্লিক অ্যাসিডের ধরন অনুযায়ী ভাইরাস প্রধানত দু’প্রকার-

  • RNA ভাইরাস ও
  • DNA ভাইরাস

RNA ভাইরাস

  • এরা সাধারণত দণ্ডাকার বা সূত্রাকার।
  • এদের নিউক্লিক অ্যাসিড কোর RNA দিয়ে তৈরি।
  • অধিকাংশ উদ্ভিদ ভাইরাস ও সায়ানোফাযগুলো RNA ভাইরাস।
  • অধিকাংশ ভাইরাসের RNA একসূত্রক। তবে ধানের বামন রোগ ও রিও ভাইরাসের RNA দ্বিসূত্রক।
  • RNA ভাইরাস উদ্ভিদদেহে রোগ সৃষ্টি করে।
  • উদাহরণ- টোবাকো মোজাইক ভাইরাস (TMV), পটেটো X ভাইরাস, শ্যুগারকেন মোজাইক, টারনিপ মোজাইক, আলফালফা মোজাইক, রেবিস, মানুষের পোলিও, ডেঙ্গু, এনসেফালারটিস ইত্যাদি ভাইরাস RNA ভাইরাস।

DNA ভাইরাস

  • এরা সাধারণত গোলাকার, ব্যাঙাচি আকার ও পাউরুটি আকৃতি।
  • এদের নিউক্লিক অ্যাসিড কোর DNA দিয়ে তৈরি।
  • অধিকাংশ প্রাণী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিওফাগুলো DNA ভাইরাস।
  • অধিকাংশ ভাইরাসের DNA দ্বিসূত্রক। তবে M13, কলিফায ভাইরাসের DNA একসূত্রক।
  • DNA ভাইরাস প্রাণিদেহে রোগ সৃষ্টি করে।
  • উদাহরণ : T2 ভাইরাস, ভ্যাকসিনিয়া, ভ্যারিওলা, TIV (Tipula Iridescent Virus), এডিনো, হার্পিস সিমপ্লেক্স ইত্যাদি ভাইরাস।

পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত শত ভিডিও ক্লাস বিনামূল্যে করতে জয়েন করুন আমাদের Youtube চ্যানেলে-

www.youtube.com/crushschool

ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-

www.facebook.com/groups/mycrushschool