পরিমাপ কাকে বলে

পরিমাপ কাকে বলে নিয়ে বলতে গেলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায় প্রতিটি কাজের সাথে মাপ-জোখের ব্যাপারটি জড়িত। এছাড়া বিভিন্ন গবেষণার কাজে প্রয়োজন হয় সূক্ষ্ম পরিমাপের। পদার্থবিজ্ঞানের প্রায় সকল পরীক্ষণেই পদার্থের পরিমাণ, বলের মান, অতিবাহিত সময়, শক্তির পরিমাণ ইত্যাদি জানতে হয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের মাপ-জোখের বিষয়টাকে বলা হয় পরিমাপ। পরিমাপের একক, এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি, পরিমাপের যন্ত্র যেমন- স্লাইড ক্যালিপার্স, স্ক্রুগজ যন্ত্র ও এদের ব্যবহার নিয়ে আমরা আলোচনা করব। এছাড়া আমরা পরিমাপের মাত্রা ও মাত্রা সমীকরণ নিয়েও জানবো।

পরিমাপ কাকে বলে

সাধারণভাবে পরিমাপ কাকে বলে বলতে বোঝায় কোনো কিছুর পরিমাণ নির্ণয় করা। যেমন- আমার বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব 500 মিটার। সাইফা বাজার থেকে 3 কিলোগ্রাম চিনি কিনে আনল। বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্বের পরিমাণ 500 মিটার। এখানে কিলোগ্রাম, মিটার এগুলো হল আনা চিনির ভর ও স্কুলের দূরত্বের পরিমাণ। মিতার ক্লাস থেকে স্কুলের অফিসে যেতে 45 সেকেন্ড সময় লাগে। এখানে 45 সেকেন্ড সময়ের পরিমাণ।

সুতরাং, কোনো কিছুর পরিমাণ নির্ণয় করাকে বলা হয় পরিমাপ।

আমরা দূরত্ব পরিমাপে ব্যবহার করেছি মিটার, ভর পরিমাপে ব্যবহার করেছি কিলোগ্রাম এবং সময় পরিমাপে ব্যবহার করেছি সেকেন্ড। এই মিটার, কিলোগ্রাম ও সেকেন্ড হল পরিমাপের একক। পরিমাপের এরকম অনেক একক আছে।

পরিমাপ কাকে বলে

পরিমাপের একক

যেকোনো পরিমাপের জন্য প্রয়োজন একটি স্ট্যান্ডার্ড বা আদর্শের যার সাথে তুলনা করে পরিমাপ করা হয়। এ নির্দিষ্ট পরিমাপের সাথে তুলনা করে সমগ্র ভৌত রাশিকে পরিমাপ করা যায়। পরিমাপের এ আদর্শ পরিমাণকে বলা হয় পরিমাপের একক (Unit)। মনে করা যাক কোনো লাঠির দৈর্ঘ্য 5 মিটার। এখানে মিটার হল দৈর্ঘ্যের একক এবং 5 মিটার বলতে বুঝায় পাঁচটি এক মিটারের পাঁচ গুণ দৈর্ঘ্য। ক্ষেত্রফল, আয়তন, ভর, শক্তি, বল, সময় ইত্যাদি মাপার জন্য ভিন্ন ভিন্ন একক রয়েছে। পরিমাপের বিভিন্ন পদ্ধতিতে এসব এককের ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে। এ এককগুলো হবে সুবিধাজনক আকারের, যা সহজে ও সঠিকভাবে বের করা যায়। এই এককগুলো আবার পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।

যে আদর্শ পরিমাপের সাথে তুলনা করে ভৌত রাশিকে পরিমাপ করা হয় তাকে বলা হয় পরিমাপের একক।

মিটার, কিলোমিটার, কিলোগ্রাম, সেকেন্ড, জুল ইত্যাদি এককের উদাহরণ। যেমন- আমার বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব 1 কিলোমিটার।