ব্যান্ডউইথ কি সেটা নিয়ে জানতে হলে আগে ডেটা নিয়ে জানতে হবে। যখন আমরা মোবাইলে গান শুনি তখন সেটা হচ্ছে একটা ডাটা। আবার মোবাইলে যদি কোনো ভিডিও দেখি তখন সেটাও একটা ডাটা। তবে এগুলো হচ্ছে ডিজিটাল ডাটা, যাদেরকে মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব ইত্যাদি ডিজিটাল ডিভাইসে জমা করে রাখতে পারি। আবার ডাটাকে এনালগ ডিভাইসেও জমা রাখা যায়।
অর্থাৎ প্রতিটা ডাটা যেকোনো ডিভাইসে একটা নির্দিষ্ট জায়গা দখল করে। এখন সেই ডাটাকে যদি আরেকটা ডিভাইসে পাঠাতে চাই আমরা তখন ডাটাটা অনেকগুলো অংশে ভাগ হয়ে হয়ে অন্য ডিভাইসে যায়। প্রতিটা ভাগ হওয়া অংশ একটা নির্দিষ্ট সময় নেয় অন্য ডিভাইসে যাওয়ার জন্য। এই ভাগগুলোই হচ্ছে ব্যান্ডউইথ।
ব্যান্ডউইথ কি
তাহলে বলা যায়-
সময়ের সাথে ডাটা এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে ট্রান্সমিট হবার হারকে (rate) ব্যান্ডউইথ বলে।
ডিজিটাল ডিভাইস থেকে ডাটা যখন ট্রান্সমিট করা হয় তখন তার ব্যান্ডউইথকে মাপা হয় Bits Per Second (bps) হিসাবে। প্রতি সেকেন্ডে কয়টা বিট অন্য ডিভাইসে যাচ্ছে সেটাই হচ্ছে bps. আর এনালগ ডিভাইস থেকে বের হওয়া ডাটা ট্রান্সমিট করার সময় ব্যান্ডউইথকে মাপা হয় Cycle Per Second বা হার্জ (Hz) হিসাবে। প্রতি সেকেন্ডে এনালগ ডাটার কয়টা চক্র/cycle অন্য ডিভাইসে যাচ্ছে সেটাই হচ্ছে cycle per second বা Hz.
ব্যান্ডউইথের কিছু নাম আছে। যেমন Band Speed, Data Bandwidth ইত্যাদি। ডিজিটাল ডাটার ক্ষেত্রে ব্যান্ডউইথকে নেটওয়ার্ক ব্যান্ডউইথ এবং এনালগ ডাটার ক্ষেত্রে ব্যান্ডউইথকে রেডিও ব্যান্ডউইথ বা ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ডউইথ বলি আমরা। তাহলে বোঝা গেলো ব্যান্ডউইথ কি।