ডিএনএ কী ও এর বৈশিষ্ট্য
ডিএনএ কী? DNA হচ্ছে আমাদের শরীরের যত ধরনের বৈশিষ্ট্য আছে সবকিছুর ধারক ও বাহক। কিন্তু দুঃখের কথা হলো DNA কখনোই আমাদের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এটি শুধু কোড (code) করে দেয় কিভাবে কিভাবে আমাদের বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশিত হবে সেগুলোর। আমাদের বৈশিষ্ট্য পুরোপুরিভাবে প্রকাশের জন্য দায়ী হচ্ছে প্রোটিন (protein). তোমরা জানো যে প্রোটিন একটা পুষ্টিকর গুন, কিন্তু এটি আমাদের বৈশিষ্ট্যকেও নিজ হাতে বানায়।
ডিএনএ কী এটা বুঝতে হলে ধরো তোমার চুল সোনালী রং-এর, এটা তোমার একটা বৈশিষ্ট্য। আবার ধরো তোমার চোখ নীল, তোমার বন্ধুর চোখ কালো। এগুলোও একেকটা বৈশিষ্ট্য। এসব বৈশিষ্ট্যকে কোড হিসেবে বানিয়ে রাখে DNA, এবং code গুলোকে বৈশিষ্ট্য হিসেবে বানিয়ে রাখে প্রোটিন।
তাই,
DNA–> কোড বানায়
প্রোটিন–> কোড অনুসারে বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ বা প্রকাশ করায়
DNA থেকে বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করার সুন্দর একটা ধাপ আছে। ধরো তোমার সামনে একটা দ্বিসূত্রক DNA আছে।
এই DNA থেকে একটা RNA তৈরি হবে। RNA হচ্ছে একসূত্রক বা এক সুতার মানুষ, সে DNA-র মত দুইটা সুতা পছন্দ করে না।
এবং সবশেষে RNA থেকে code নিয়ে একটা প্রোটিন তৈরি হবে। এবং এই প্রোটিনটাই আমাদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করবে। তাহলে বোঝা গেলো ডিএনএ কী।
ডিএনএ কী ও এর কোড
ডিএনএ কী সেটা আমরা বুঝলাম। এখন জানতে হবে আমাদের DNA তে বৈশিষ্ট্যগুলোর কোড লেখা থাকে নিউক্লিওটাইডে। নিউক্লিওটাইডের এসব কোডের ভাষাকে The Language of God বলি আমরা। একটা প্রোটিন অণু কিভাবে কিভাবে তৈরি হবে সেই কোড গুলোই নিউক্লিওটাইডে সুন্দর করে সাজানো থাকে। তোমরা জানো সেই কোডগুলো কয়টা থাকে? মাত্র ৪টা কোড। আমরা আগে DNA-তে যে ৪টা নাইট্রোজেন ক্ষারের নাম বলেছিলাম (এডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন এবং থায়োমিন) সেগুলোর প্রথম অক্ষরগুলোই হচ্ছে কোড- A, G, C, T.
DNA থেকে RNA তৈরি হয় একটা এনজাইমের মাধ্যমে, একে RNA polymerase (পলিমারেজ) এনজাইম বলি আমরা, এবং যে RNA-টা তৈরি হয় তার নাম mRNA বা messenger RNA. Messenger মানে হচ্ছে বার্তাবাহক, সংবাদ বাহক।
ডিএনএ এর বিভিন্ন ধাপ
DNA থাকে নিউক্লিয়াসে, কিন্তু প্রোটিন তৈরি হয় রাইবোসোমে। DNA থেকে কোড mRNA-এর মাধ্যমে রাইবোসোমের প্রোটিনের কাছে চলে আসে এবং প্রোটিনকে বানাতে সাহায্য করে। তাই এর নামটা এমন।
তবে এখানে ৩টা ধাপ জড়িত-
- ডিএনএ থেকে যখন অবিকল একই DNA তৈরি হয় তখন সেই system-কে Replication বলে।
- DNA থেকে যখন mRNA তৈরি হয় তখন সেই system-কে Transcription বলে
- আবার mRNA থেকে প্রোটিন তৈরি হবার system-কে Translation বলে।
DNA থেকে mRNA-এর মাধ্যমে কোডের information প্রোটিনে যায়। একে The Biological Information Flow বলি আমরা। এর আরেক নাম হচ্ছে Central Dogma. Dogma মানে হচ্ছে দৃঢ়তা, যাকে পরিবর্তন করা যায় না। ১৯৫০ সালের দিকে Francis Crick এর ধারনা দেন। কিন্তু কখনো প্রোটিন থেকে বৈশিষ্ট্য DNA-এর দিকে যায় না। অর্থাৎ DNA থেকে প্রোটিনের দিকে কোডের information flow একমুখী, বিপরীতমুখী না। প্রতিটা জীবের বৈশিষ্ট্য Central Dogma দিয়ে নির্ধারিত হয়।
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
www.facebook.com/groups/mycrushschool
অথিতি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-
write@thecrushschool.com