জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি সেটা বলতে বোঝায় জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর সব কাজ করা হয় একটা বিশেষ টাইপের DNA কে ব্যবহার করে। যার নাম হচ্ছে প্লাসমিড (Plasmid). প্লাসমিডকে ব্যাকটেরিয়াতে পাওয়া যায়। এছাড়া একে ছত্রাক বা Yeast এর মধ্যেও পাওয়া যায়।
প্লাসমিড সাধারণ DNA অনুর মত সর্পিলাকার বা প্যাঁচানো থাকে না, এটি বৃত্তাকার DNA অনু। এর আকারও অনেক ছোট। তাই একে নিয়ে সহজেই নড়াচড়া করা যায়। তাই জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রধান Tool হিসেবে একে ব্যবহার করা হয়।
প্লাসমিডকে ভেক্টর (Vector) বলা হয়। Vector মানে হচ্ছে বহনকারী যন্ত্র। অর্থাৎ প্লাসমিড এক প্রাণির শরীর থেকে অন্য প্রাণির শরীরে DNA কে বহন করে নিয়ে যেতে পারে।
প্লাসমিডের কিছু বৈশিষ্ট্য-
- প্লাসমিড দ্বিসূত্রক (যার দুটো সুতা থাকে) DNA
- এটি বৃত্তাকার DNA
- আকারে অনেক ছোট
- Vector হিসেবে কাজ করে
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি ও কিভাবে কাজ করে
সাধারণ DNA এর মধ্যে এডেনিন (A), গুয়ানিন (G), সাইটোসিন (C) এবং থায়োমিন (T) নামক নাইট্রোজেন ক্ষার বা Nitrogen Base একে অপরের সাথে Hydrogen bond দিয়ে যুক্ত থাকে। যেখানে A সবসময় T এর সাথে দুটো Hydrogen Bond দিয়ে এবং C সবসময় G এর সাথে তিনটি Hydrogen Bond দিয়ে যুক্ত থাকে। এদের এই জোড়া বাঁধাকে Base Pair (বা ক্ষারের জোড়া) বলে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি এবং এর মূলকাজ হচ্ছে একটা DNA কে কাটা এবং জোড়া লাগানো। DNA কাটতে হলে একটা কাঁচি লাগে এবং জোড়া লাগাতে হলে একটা আঠার দরকার হয়। জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়াররা DNA কাটা এবং জোড়া লাগানোর জন্য বিশেষ কিছু এনজাইম ব্যবহার করে।
- DNA কাটার কাঁচি – Restriction Enzyme
- DNA জোড়া লাগানোর আঠা – Ligase Enzyme
তাহলে এতক্ষণে বোঝা গেলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি।
ক্রাশ স্কুলের নোট গুলো পেতে চাইলে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে-
www.facebook.com/groups/mycrushschool
অথিতি লেখক হিসেবে আমাদেরকে আপনার লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুন-
write@thecrushschool.com