আদ্রতা কি

আদ্রতা কি সেটা নিয়ে আমরা এখন জানবো। বায়ুমণ্ডলে সর্বদা কিছু না কিছু জলীয় বাষ্প বিদ্যমান থাকে। বাষ্পায়ন প্রক্রিয়ায় খাল-বিল, পুকুর, নদী, সমুদ্র প্রভৃতি হতে প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণ পানি বাষ্প হয়ে বায়ুমণ্ডলে মিশে যাচ্ছে। মেঘ, বৃষ্টি, কুয়াশা, শিশির প্রভৃতি নৈসর্গিক ঘটনা হতে প্রমাণিত হয় যে, বায়ুতে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে।

আদ্রতা কি এটার উত্তরে বলা যায় বিভিন্ন স্থানে বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বিভিন্ন। আবার কোনো কোনো দিন বায়ুতে জলীয় বাষ্প বেশি থাকে এবং কোনো কোনো দিন বায়ুতে জলীয় বাষ্প কম থাকে। কোনো কোনো স্থানে পানির উৎসের অবস্থিতি, অক্ষাংশ, সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে তার উন্নতি প্রভৃতির উপর বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ নির্ভর করে। তাই আদ্রতা কি এর উত্তর হচ্ছে কোনো স্থানে বায়ুর মধ্যে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প থাকে তাই আদ্রতা।

কোনো স্থানের আবহাওয়ার উপর বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্পের গুরুত্ব অপরিসীম। কোনো কোনো দ্রব্যের সুষ্ঠু উৎপাদন ও গুদামজাতকরণে বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ও তাপমাত্রা একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এই কারণে বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ নির্ণয়ের গুরুত্বও অনেক। পাশাপাশি কোনো স্থানে আদ্রতা কি সেটা জানাও দরকার।

পদার্থবিজ্ঞানের যে শাখায় কোনো নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ নির্ণয় সম্বন্ধে আলোচনা করা হয় তাকে আর্দ্রতামিতি বা হাইগ্রোমিতি বলে। এক কথায় বলা যায়- পদার্থবিজ্ঞানের যে শাখায় জলীয় বাষ্পের পরিমাপ করা হয়, তার নাম আর্দ্রতামিতি।